পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান মানস দাস বলেন, এই বছর রাজ্যের মোট ৪০জন শিক্ষককে শিক্ষারত্ন পুরস্কার দেওয়া হবে। আগামী ২৭তারিখ থেকে আগ্রহী শিক্ষকরা অনলাইনে আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদনপত্র জমা হওয়ার পর স্ক্রিনিং কমিটির মাধ্যমে নির্বাচিত নির্দিষ্ট সংখ্যক শিক্ষকের নাম রাজ্যে পাঠানো হবে। এছাড়া আবেদনপত্র জমা দেওয়ার বিষয়ে কোনও কিছু তথ্য শিক্ষকদের জানার থাকলে জেলা শিক্ষা দপ্তর বা ডিপিএসসিতে এসে সরাসরি জানতে পারবেন।
শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩মে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কমিশনার সৌমিত্র মোহন সমস্ত জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যানদের কাছে চিঠি পাঠান। ওই চিঠিতে বলা হয়, অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতার নজরুল মঞ্চে শিক্ষক দিবস পালন হবে। মাদ্রাসা সহ রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের মোট ৪০জন শিক্ষককে শিক্ষারত্ন দেওয়া হবে। আগ্রহী শিক্ষকরা সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। চিঠিতে ২৭মে থেকে ১০জুন পর্যন্ত আবেদন জানানোর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত কমপক্ষে ২০বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা ইন সার্ভিস শিক্ষকদেরই এই পুরস্কার দেওয়া হবে।
অনলাইনে আবেদন করার পাশাপাশি শিক্ষকদের জেলা শিক্ষাদপ্তরে আবেদনের হার্ড কপি জমা দিতে হবে। এইসব আবেদনপত্র বাছাই করার জন্য জেলাস্তরে স্ক্রিনিং কমিটি গড়ার কথা বলা হয়েছে। জেলার ক্ষেত্রে ওই কমিটির চেয়ারম্যান হবেন জেলাশাসক ও কলকাতার ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান হবেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের জয়েন্ট ডিরেক্টর। এছাড়া কমিটির সদস্য হবেন জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। ওই চিঠিতে প্রত্যেক জেলা থেকে কতজন শিক্ষকের নাম মনোনীত করে পাঠাতে হবে, তাও ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।
নাম পাঠানোর আগে আবেদনকারী শিক্ষকদের পুলিস ভেরিফিকেশন রিপোর্ট করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকস্তর পর্যন্ত পঠনপাঠন করানো শিক্ষকদের একই বিভাগে রাখা হয়েছে। এছাড়া নবম থেকে উচ্চ মাধ্যমিকস্তর পর্যন্ত পঠনপাঠন করানো শিক্ষকদের নাম আলাদা করে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দু’টি ক্ষেত্রে রাজ্যের সব জেলা থেকে মোট ১৫৩জন শিক্ষকের নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে রাজ্যস্তরে মোট ৪০জন শিক্ষককে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হবে। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে প্রাথমিক স্তরে চারজন ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ছ’জন মিলিয়ে মোট ১০জন শিক্ষকের নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, মুর্শিাদাবাদ ও বাঁকুড়া জেলা থেকে আটজন করে শিক্ষকের নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, কোচবিহার, হুগলি, হাওড়া, জলপাইগুড়ি, মালদহ ও পুরুলিয়া জেলার জন্য সাতজন করে শিক্ষকের নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। কলকাতার জন্য ছ’জন ও উত্তর দিনাজপুরের জন্য পাঁচজন শিক্ষকের নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া আলিপুরদুয়ার, পশ্চিম বর্ধমান, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, ঝাড়গ্রাম ও শিলিগুড়ি জেলা থেকে চারজন করে শিক্ষকের নাম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।