কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন কৈলাস বিজয়বর্গীয় অভিযোগ করেছেন, শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস নয়। বরং তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই মুহূর্তে রাজ্যটি চালাচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য চালানোর দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে হাতে গুণ্ডা-দুষ্কৃতীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। তারাই এখন রাজ্যটি চালাচ্ছে। আর রাজ্য সরকার এবং পুলিশ-প্রশাসন মিলিতভাবে রাজ্যের গণতন্ত্রকে হত্যাকে করে চলেছে।’ তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে এদিন বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে এখন গুণ্ডারাজ চলছে। বাংলায় স্বেচ্ছাচারিতার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কারও কথা শুনছে না। কেউ কারও কথা মানছে না। বিজেপি রাজ্যের এই অগণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চাইছে। আর সেই কারণে বারবার তৃণমূলী দুষ্কৃতীদের হামলা আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপির নেতা-কর্মীদের। সাধারণ মানুষ বিজেপিরই পক্ষে।’ এদিন নির্মলা সীতারামনও অভিযোগ করে বলেছেন, ‘ভোটারদের ভোটদানে বাধার সৃষ্টি করছে তৃণমূল কংগ্রেস।’ পশ্চিমবঙ্গের ‘তৃণমূলী হিংসা’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তোপ দেগেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও। এদিন তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, রাজনীতি আসলে মানুষকে সেবা করার একটি মাধ্যম। অথচ বাংলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আদালতকে পর্যন্ত মন্তব্য করতে হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের গত ছ’টি পর্যায়ে উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের তুলনা টানা হোক। কোনও পর্যায়েই উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে হিংসাত্মক ঘটনার নজির নেই।’
লোকসভা নির্বাচনের একেবারে শুরু থেকেই হিংসা-সন্ত্রাস ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে বিজেপি দাবি জানিয়েছে, গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকেই অতি স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হোক। এমনকী সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ মমতার সরকারের বিরুদ্ধে এহেন অভিযোগ তুলেছেন। এমনিতেই এই লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ২৩টি লোকসভা আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন অমিত শাহ। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে তার একটি যুক্তিপূর্ণ কারণ তৈরি করার জন্যই কি বারবার দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে দিয়ে এভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হামলা সন্ত্রাসের অভিযোগ করাচ্ছে বিজেপি? এমনই প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক মহল।