বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে গোটা দেশজুড়েই অভিযান চালানো হচ্ছে। এরাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। বেআইনিভাবে চলা পোস্ত ও গাঁজা চাষ বন্ধ করতে মরিয়া কেন্দ্র। কারণ মাদক বিক্রি করে যে টাকা আসছে, তা দিয়েই কেনা হচ্ছে বন্দুক-কার্তুজ। শুধু তাই নয়, মাদক কারবারিদের সঙ্গে জঙ্গি গোষ্ঠীরও যোগ মিলেছে। এরাজ্যের মুর্শিদাবাদ ও মালদহের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনিভাবে গাঁজার চাষ হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময়ে জেনেছে পুলিস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি ভাড়া বা লিজে নিয়ে অবৈধ এই কারবার ফেঁদে বসেছে মাদক কারবারিরা। পোস্তর খোলা থেকেই তৈরি হচ্ছে আফিম, আর আঁটা বা কষ থেকে হেরোইনের মতো নিষিদ্ধ মাদক। এই দুই জেলায় ঘরে ঘরে বেআইনি এই ব্যবসা এতটাই ছড়িয়ে গিয়েছে যে, বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগে প্রশাসনের কর্তারা।
তাই রাজ্য প্রশাসন বেআইনি পোস্ত চাষ বন্ধ করতে উদ্যেগী হয়। বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংস করে দেওয়া হয় এই সমস্ত গাছ। তবে অভিযানে গিয়ে মাদক কারবারিদের বাধার সম্মুখীন হতে হয় পুলিস অফিসারদের। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় রাতে নজরদারি চালানো যাচ্ছে না। এই খেতগুলির উপর নজরদারি চালানোর জন্য বেশ কিছু জায়গায় ড্রোনও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ড্রোনের সংখ্যা হাতেগোনা রাজ্য পুলিসের। তাই একসঙ্গে একাধিক জায়গায় নজরদারি চালানো যাচ্ছে না। অথচ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ড্রোন, নাইট ভিশন গগলস, গোপন ভিডিও রেকর্ডার সহ অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার উপর জোর দিতে চাইছে। এগুলি কেনার জন্য রাজ্যগুলিকে ছাড়পত্র দিয়েছে দিল্লি। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থও ররাদ্দ করেছে।
রাজ্য পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাদক বিরোধী অভিযানে বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য টাকা অনেকদিন আগেই মঞ্জুর হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। অথচ তা কেনার জন্য কোনও প্রস্তাব পাঠানো হয়নি বিভিন্ন জেলা বা অন্যান্য শাখা থেকে। যে কারণে এই খাতে বরাদ্দ টাকা পড়ে রয়েছে। এদিকে অভিযান চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিসকর্মীদের। কী কী সামগ্রী প্রয়োজন, তা তাঁদের তরফে একাধিকবার বলাও হয়েছে। তারপরেও এইসব সরঞ্জাম না কেনায় পুলিস মহলেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। বিশেষত টাকা অনুমোদনের পরও তা ব্যবহার না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে পুলিসমহলের একাংশে। তবে সম্প্রতি বিষয়টি নজরে এসেছে পুলিসের শীর্ষ মহলের। কেন প্রস্তাব পাঠানো হয়নি তা নিয়ে খোঁজখবর শুরু হয়েছে। পাশাপাশি এই সমস্ত সামগ্রী দ্রুত কেনার জন্য প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। যাতে চলতি আর্থিক বছরেই তা হাতে আসে রাজ্য পুলিসের।