পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অমিত শাহের রোড শো এবং তাকে ঘিরে গোলমালের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, গত ১৪ মে কলকাতায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির রোড শো’র অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ওই এলাকায় জারি থাকা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে। সেই অনুমতি দিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত কলকাতার নতুন পুলিস কমিশনার। কলকাতা তথা রাজ্যের ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার জন্য ওই রোড শো ছিল বেপরোয়া, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রমূলক। শুধু ঐতিহ্য ধ্বংস করাই নয়, রাজ্য এবং রাজ্যবাসীর মানসম্মান নষ্ট করাও ছিল রোড শোয়ের উদ্দেশ্য।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে লেখা চিঠিতে দু’জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিককে নির্বাচনের স্পেশাল অবজার্ভার হিসেবে নিয়োগের প্রসঙ্গটিও উল্লেখ করেছেন মমতা। লিখেছেন, ওই দুই অবজার্ভার পক্ষপাত করেছেন এবং প্রতিটি সময়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেন্দ্রের শাসকদলের নির্দেশ মেনে চলেছেন। চিঠিতে নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এই সমস্ত বিষয় নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা সত্ত্বেও কোনও বিচার মেলেনি। শেষ দফার ভোটে যাতে সেই সমস্ত বিষয়ের পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনকে মমতা চিঠি দিয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নির্বাচন প্রচারপর্বে কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এবং রাজ্যের নির্বাচিত সরকারকে এড়িয়ে চলার মতো অভিযোগ বারবার করেছেন মমতা। এদিন পাঠানো চিঠির শেষ ছত্রে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে সেই প্রসঙ্গে তাঁর আর্জি, দেশের গণতান্ত্রিক সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে রক্ষা করুন। একইসঙ্গে বিরোধীদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দিন।
নির্বাচন কমিশনকে চিঠির মাধ্যমে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের সঙ্গেই তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন কলম ধরেছেন আরও একটি বিষয় নিয়ে, লিখেছেন একটি কবিতা। নির্বাচন পর্বে বাংলায় কালো টাকার স্রোত এবং পরিচিত সাংস্কৃতিক পরিবেশের পরিপন্থী বাতাবরণকেই যে ‘চেনা নয়’ শীর্ষক কবিতার ছত্রে ছত্রে মমতা সামনে এনেছেন, তা বেশ বোঝা যাচ্ছে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। এদিন সন্ধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই কবিতা পোস্ট করা হয়। মমতা লিখেছেন,
উড়ছে টাকা
ভীষণ ফাঁকা
দৌরাত্ম্যের দুরভিসন্ধি,
হাড় জ্বালানো
অন্তর বিদীর্ণ
প্রাপ্তি অশুভ সন্ধি।
শুষ্ক, রুক্ষ,
রুদ্র নির্লজ্জ
নিশ্বাস নিঃশেষে,
নির্যাস গরমে
উগ্র আগ্রাসনে
বিদ্বেষ বিশেষণে ভাসে।
এত উগ্রতা,
এত সন্ত্রাস
জন্ম নিল কোথায়?
এ দেশে তো,
আমার চেনা নয়,
সবাইকে কি ভাবায়?
নির্বাচন পর্বে ব্যবহার হওয়া কুকথা নিয়েও এদিন আরও একটি কবিতা লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কবিতার নাম ‘অবিশ্বাস্য কালো??’। এদিন রাত আটটা পর্যন্ত যে কবিতা লাইক করেছেন সাড়ে তিন হাজার মানুষ। কমেন্ট করেছেন ৫৫০ জন। আর তা শেয়ার করেছেন ৪৪০ জন নেটিজেন।