গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ডিআই অফিস থেকে স্কুলের অ্যাকাউন্টে এই সংক্রান্ত ইমেল দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়েছিল প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সরকার স্কুলগুলিতে টানা ছুটি দিয়েছে। ফলে স্কুল বন্ধ। করণিকরা কেউ নেই। এই অবস্থায় এত তথ্যাদি দিয়ে কে সাহায্য করবে প্রধান শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের? পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ও শিক্ষা বিষয়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি এবং মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলের একটি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য বলেন, প্রধান শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষিকারা কি এই ছুটির আওতার বাইরে নাকি? অফিস খোলা রাখার তো কোনও নির্দেশিকা নেই। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। শুধু এটা নয়, বাংলার শিক্ষা পোর্টালের জন্য ছাত্রছাত্রীদের তথ্যাদি সম্বলিত ডিসিএফ ফর্মও ২০ মে’র মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ এসেছে এদিনই। এটার ভবিতব্যও একই হবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন দাবি তুলেছে, অন্তত অফিস খোলা রেখে এই কাজকর্মগুলি করার নির্দেশ দিক দপ্তর। নাহলে দেখা যাবে, প্রধান শিক্ষকদের ঘাড়েই সব দোষ এসে চাপবে। অথবা এর বিকল্প হিসেবে দু’মাসের এই সুদীর্ঘ ছুটি কমানোর নির্দেশিকা জারি করা হোক শিক্ষা দপ্তরের তরফে। তবে, অনেকেরই আশঙ্কা, আপাতত ভোটের ফল ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত ছুটি কমানো বা অফিস খোলা রাখা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মাঝখান থেকে ডিআই অফিস থেকে একের পর এক এ ধরনের নির্দেশিকা আসতেই থাকবে।