পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্যদিকে, সপ্তম দফার ভোটে কলকাতা উত্তর এবং দক্ষিণ ও যাদবপুর লোকাসভা কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক সুনীল দেওধর। অসমের অর্থমন্ত্রী তথা উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন পর্যদের চেয়ারম্যান হিমন্ত বিশ্বশর্মার অধীনে ছিল ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর এবং জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র। গেরুয়া শিবিরের এই দুই প্রভাবশালী ভোট ম্যানেজার গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই কেন্দ্রগুলিতে বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন। বহিরাগত হওয়ায় সুনীল দেওধর এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা ইতিমধ্যেই রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পাশাপাশি বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার দায়িত্বে থাকা অপর কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশও একই নিয়মের জাঁতাকলে পড়ে উত্তরপ্রদেশে চলে গিয়েছেন। সব মিলিয়ে গত দেড়মাসের বেশি সময় ধরে একাধিক ভিনরাজ্যের নেতারা রাজ্যের বিভিন্ন দিকে কাজ করছিলেন। তাঁদের সহযোগী হিসেবে গুজরাত, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ত্রিপুরা সহ ভিন রাজ্য থেকে কয়েকশো বিজেপি কর্মী এসেছিলেন। যাঁদের অধিকাংশই এই মুহূর্তে বাংলা ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
যদিও বিজেপির এক শীর্ষ রাজ্য নেতার দাবি, আমরা সর্বভারতীয় দল। সেক্ষেত্রে এক রাজ্য থেকে অপর রাজ্যের নেতৃত্বকে ভোটের সময় সাহায্য করতে নেতা-কর্মীরা আসতেই পারেন। সংবাদমাধ্যমে কেবল প্রচার হয়, ভিনরাজ্যের নেতা-কর্মীরা বঙ্গ বিজেপিকে বাড়তি অক্সিজেন জোগাতে রাজ্যে আসছেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ ঠিক নয়। বাংলা থেকেও বাছাই করা নেতৃত্ব অন্য রাজ্যের ভোটে যায়। তাঁর অভিযোগ, কমিশনের বহিরাগত খেদাও অভিযানকে সফল করতে রাজ্য এবং কলকাতা পুলিস বৈমাতৃসুলভ আচরণ করছে। সরকারি হাসপাতাল, গেস্টহাউস, আবাসনে তৃণমূলের ভিন জেলা এবং রাজ্যের দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে রয়েছে। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। যদিও বিজেপি কর্মী-নেতাদের বেছে বেছে শনাক্ত করে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। ডায়মন্ডহারবার সহ কয়েকটি এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি করে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে ঘর ছাড়া করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিজেপির ওই নেতা।