পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিআইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃত গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীকান্ত সাউ এর আগেও ওই ব্যবসায়ীর কাছে থেকে চার থেকে পাঁচবার টাকা নিয়ে গিয়েছেন। তাঁরা মূলত রেলপথ ব্যবহার করেই কখনও খড়্গপুর আবার কখনও পুরুলিয়ায় গিয়েছেন। ১২ মে যেদিন তাঁরা গ্রেপ্তার হন, সেদিন টাকা নেওয়ার জন্য খড়্গপুর থেকেই একটি চারচাকা গাড়ি চড়ে বার্নপুরে আসেন। সেই গাড়িটি বার্নপুরের এক জায়গায় রেখে তাঁরা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পর টোটো ধরে আসানসোল স্টেশনে পৌঁছন। গাড়িতে টাকা নিয়ে গেলে ধরা পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকত। সেকারণেই রেলপথে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। তবে বার্নপুরের ওই ব্যবসায়ীর কাছে কীভাবে টাকা আসত তা নিয়ে তদন্তকারীরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, হাওলার মাধ্যমেই বিপুল পরিমাণ টাকা তাঁর কাছে এসেছিল। এছাড়া কোনও মাফিয়া টাকা দিয়েছিল কিনা সেটাও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন। তাঁরা জানতে পেরেছেন, নির্বাচনের জন্য বার্নপুর থেকে বিভিন্ন সময় সারা রাজ্যে টাকা গিয়েছে। তবে সব সময় রেল পথে টাকা পাঠানো হয়েছে এমনটা নয়, গাড়িতেও বেশ কিছু জায়গায় টাকা পৌঁছেছিল বলে তদন্তকারীরা জেনেছেন।
প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজ্য সভাপতির আপ্ত সহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায় ১২ মে এক কোটি টাকা সহ আসানসোল স্টেশনে গ্রেপ্তার হন। তাঁর সঙ্গে দিল্লির বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত সাউও গ্রেপ্তার হন। প্রথম দিকে বিজেপি এই ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলেছিল। এই টাকা তাদের পার্টির নয় বলে দাবি করে। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ করেই পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই সিআইডিকে চিঠি দিয়ে জানান, ধৃত দু’জন তাঁদের দলের সক্রিয় কর্মী। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া পুরো টাকা দলের। তার প্রমাণও রয়েছে। প্রথমদিকে অস্বীকার করার পর হঠাৎ বিজেপির এই দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। তৃণমূল নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ভোটের সময় বিপুল পরিমাণ কালো টাকা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়েছিল। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই সে কথা বলে আসছেন। সেটা এখন প্রমাণিত হয়ে গেল। পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যদিও লক্ষ্মণবাবু বলেন, উদ্ধার হওয়া টাকা বৈধ। তার প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে।