পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চড়া তাপমাত্রার পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলে বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প থাকার কারণে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অস্বস্তিকর গরম পড়েছে। শুক্রবার দুপুরে তাপমাত্রা যখন সবথেকে বেশি ছিল, সেই সময় বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৬৬ শতাংশ। এদিন কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বেশি থাকার জন্য অস্বস্তি সূচক উপরের দিকে থাকছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা গণেশ দাস জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢোকার প্রবণতা মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে বাড়তে থাকে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে আসার জন্য এটা হয়ে থাকে। আগামী রবিবারের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু ঢুকে পড়তে পারে বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর ধরে যত এগিয়ে আসবে, তত জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বায়ুমণ্ডলে বাড়বে। মে মাসে এই কারণে ভ্যাপসা গরমের মাত্রা বাড়তে থাকে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় এখন কোনও নিম্নচাপ, ঘূর্ণাবর্ত বা নিম্নচাপ অক্ষরেখা না থাকায় জলীয় বাষ্প ঢুকলেও তা ঘনীভূত হয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী তৈরি হচ্ছে না। বড়জোর স্থানীয়ভাবে কিছু বজ্রমেঘ এখন তৈরি হতে পারে।
অন্যদিকে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের দিক থেকে গরম ও শুকনো পশ্চিমী বাতাস আসার জন্য পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা চড়ছে। সেখানে গরম হাওয়া (লু) প্রবাহিত হচ্ছে। আসানসোলে এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি অতিক্রম করেছে। পশ্চিমাঞ্চলের অন্যত্র সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্যত্র সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রির আশপাশে ঘোরাফেরা করছে।