বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মুর্তি ভাঙার তদন্তে গতি আনতে ইতিমধ্যেই সিট গঠন করেছে লালবাজার। শুক্রবার এর সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। ঘটনার তদন্তে সিসিটিভির ফুটেজকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভিডিও এবং কলেজের ফুটেজের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয় এদিন। তাতে দেখা যাচ্ছে, সবক’টি ফুটেজে একই ব্যক্তিদের মূর্তি ভাঙতে দেখা যাচ্ছে। অফিসাররা নিশ্চিত, ফুটেজ বিকৃত করা হয়নি। তবে তার সত্যাসত্য যাচাই করতে নিয়মমাফিক তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, যারা মূর্তি ভাঙা ও গোলমাল পাকানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা সকলেই বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। কিন্তু তাদের সঙ্গে যে ভিন রাজ্যের যুবকরা মিশে ছিল, তা জানতে পেরেছেন অফিসাররা। যারা কয়েকদিন আগে এ রাজ্যে ঢুকেছিল বলে খবর। এদের অধিকাংশই ঝাড়খণ্ড ও বিহারের বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিসের দাবি, হেফাজতে থাকা পাঁচ অভিযুক্ত জেরায় জানিয়েছে, কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল বিধান সরণীর দিকে এগনোর সময় সামনের দিকে ভিন রাজ্যের বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ছিল। তাদের অধিকাংশই গেরুয়া রঙের জ্যাকেট পরে ছিল। প্রত্যেকেই হিন্দিতে কথা বলছিল। রোড শো’কে লক্ষ্য করে কেউ বা কারা অশ্লীল মন্তব্য ছুঁড়ে দেওয়ার পর তারাই প্রথমে প্রতিক্রিয়া দেখায়। রে রে করে বিদ্যাসাগর কলেজের দিকে ছুটে যায়। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বিভিন্ন জেলার কর্মী ও সমর্থকরা। ভিন রাজ্যের ওই যুবকরা কলেজের ভিতর ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙতে শুরু করে। মিছিলে থাকা কর্মী ও সমর্থকরা যে কলেজের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকেছে, তা সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নিশ্চিত তদন্তকারী অফিসাররা। বৃহস্পতিবার নতুন কিছু ফুটেজ তাঁদের হাতে এসেছে। যে সমস্ত ভিডিও পুলিসের হাতে এসেছে, তা অভিযুক্তদের দেখিয়ে বাইরের রাজ্যের বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের চিহ্নিত করতে বলা হয়। সূত্রের খবর, অল্প কয়েকজনকে তারা চিহ্নিত করেছে। কিন্তু তাদের নাম বা পরিচয় জানাতে পারেনি। তবে যে ব্যক্তি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা শুরু করে, তার পরিচয় জানাই সিটের কাছে এখন বেশি জরুরি। ওই যুবক যে জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে, সেখানে সে আদৌ থাকে কি না তা জানতে তল্লাশিতে যাবে পুলিসের টিম।