কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিসের দাবি, সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক ব্যক্তি কলেজের দরজা ভেঙে ঢোকার পর সোজা বিদ্যাসাগরের মূর্তির কাছে যাচ্ছে। সে প্রথমে মূর্তিকে আঘাত করে। তারপর তা টেনে তোলার চেষ্টা করে। এরপর ওই ব্যক্তির সঙ্গে যোগ দেয় আরও জনা ছয়েক যুবক। হেফাজতে থাকা পাঁচ অভিযুক্তকে তার ছবি দেখানো হয়। সূত্রের খবর, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রথমে মূর্তিকে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে, তাকে চিহ্নিত করেছে ধৃতরা। পাশাপাশি অন্যদেরও শনাক্ত করা গিয়েছে। তারা কলকাতা ও বর্ধমান জেলার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর তারা কোথায় লুকিয়ে রয়েছে, তা নিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছেন অফিসাররা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তাদের খোঁজে তল্লাশিও শুরু হয়েছে। তদন্তে উঠে আসছে, হেফাজতে থাকা অভিযুক্তদের মধ্যে অন্তত দু’জন একেবারে প্রথম থেকে ঘটনায় জড়িত ছিল। যে ব্যক্তি প্রথম মূর্তি ভাঙা শুরু করে, তার কাজে সহযোগিতা করছিল তারা। ঠিক হয়েছে, তদন্তে গতি আনতে সিটের তদন্তকারী অফিসারদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। ডিসি নর্থ সিটের কাজকর্ম তদারকি করবেন। দলে থাকছেন আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসি, এসিডিডিআই সহ অন্যান্য অফিসাররা। ডিসি নর্থের কাছেই প্রতিদিন ঘটনার অগ্রগতি নিয়ে রিপোর্ট করবেন অফিসাররা।
এদিকে, বৃহস্পতিবার আমাহার্স্ট স্ট্রিট থানায় যান ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। যে গাড়িগুলিতে আগুন দেওয়া হয়েছিল, তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগুন বাইরে থেকে কেউ লাগিয়ে দিয়েছিল নাকি, অন্য কোনও কারণে তাতে আগুন লেগে যায়, তা পরীক্ষা করে দেখবেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বিদ্যাসাগরের মূর্তি যেখানে ছিল, সেই জায়গা এত ঘেঁটে গিয়েছে সেখান থেকে কতটা তথ্যপ্রমাণ বা নমুনা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে তাঁদের। কারণ ঘটনার পর একাধিক ব্যক্তি সেখানে আসা-যাওয়া করেছেন। এমনকী ভাঙা মূর্তিও অন্যরা এদিকে ওদিক সরিয়েছেন। তাই কারা হামলা চালাল, তার প্রমাণ ঘটনাস্থল থেকে কতটা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে রীতিমতো দ্বিধায় রয়েছেন তাঁরা। তবুও পরীক্ষা করে সেখান থেকে আসল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।