পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে আহমেদ প্যাটেল, আম আদমি পার্টির এমপি সঞ্জয় সিং, টিডিপির রামা মোহনা রাওদের পাশে নিয়ে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিংভি বলেন, কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙল বিজেপি। অমিত শাহর রোড শো ঘিরে সংঘর্ষে জড়িয়ে গেল বিজেপি। অথচ তাদের কোনও শাস্তি না দিয়ে বিরোধীদের ওপরই বেনজির কোপ মারল কমিশন। প্রচারের সময় কেটে নেওয়া হল। কমিশনের এই সিদ্ধান্ত একতরফা। তাই প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাব।
অন্যদিকে, বিদ্যাসাগরের নতুন মূর্তি গড়ে দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ যে মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। দলের রাজ্যসভার ডেপুটি লিডার সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, নিজেরা মূর্তি ভেঙে এখন গড়ে দেওয়ার কথা বলে প্রধানমন্ত্রী কি শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন? নাকি জুতো মেরে গরু দান করতে চাইছেন? বিদ্যাসাগরের মতো সমাজ সংস্কারকের মূর্তি ভাঙা এবং তা নিয়ে তাণ্ডব চালানোর জন্য বাংলার সংস্কৃতিবান মানুষ কোনওদিন বিজেপিকে ক্ষমা করবে না। মন্তব্য করেন সুখেন্দুশেখর রায়।
দলের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, কমিশন যা করেছে, তা গণতন্ত্রের ওপর কালো দাগ। নিরপেক্ষ থাকার বদলে মোদি-অমিত শাহ’র পায়ে নিজেদের লুটিয়ে দিয়েছে কমিশন। নাহলে পশ্চিমবঙ্গে হিংসার কারণে যদি প্রচারের সময়সীমা বেনজিরভাবে কমিয়ে দেওয়া হলই, তাহলে তা আজ বৃহস্পতিবার থেকেই নয় কেন? পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দুটি সভা ছিল বলে? প্রশ্ন তোলেন সুরজেওয়ালা। একইসঙ্গে কিছুটা হুমকির সুরেই তিনি জানিয়ে দেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের নিয়ম পরিবর্তন করব। কোনওভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট অফিসারদের হাতে কমিশনকে ছাড়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, দিনের পর দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আদর্শ নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করে গিয়েছেন। কংগ্রেস কমপক্ষে ১১ বার কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে তথ্য সহ অভিযোগও করে এসেছে। তারপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টে মোদি অমিত শাহকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। তবে কি মডেল কোড অব কনডাক্ট আদতে মোদি কোড অব মিস-কনডাক্টে পরিণত হয়েছে? কটাক্ষ জুড়েছেন সুরজেওয়ালা। কেবল কংগ্রেসের এই মুখপাত্রই নন, দলের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপালও বিবৃতি জারি করে পশ্চিমবঙ্গ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তর কড়া সমালোচনা করেন।
সুরজেওয়ালা বলেন, নজিরবিহীনভাবে সংবিধানের ৩২৪ ধারা ব্যবহার করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নিজের দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ। কমিশন সংবিধানের ১৪ এবং ২১ ধারাকে অবজ্ঞা করেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংবিধানে আইনের চোখে সবাই সমান বলা থাকলেও কমিশন কোথায় তা পালন করল? মোদি-অমিত শাহ লাগাতার অপরাধ করে যাওয়ার পরেও কেন তাঁদের ক্লিনচিট দেওয়া হল? কলকাতা কাণ্ডে কমিশনের সিদ্ধান্তের জবাব ভোটের মাধ্যমে দেবে মানুষ। মন্তব্য করেন সুরজেওয়ালা।