বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও তীব্র আক্রমণ করেন প্রিয়াঙ্কা। কটাক্ষ করে বলেন, তিনি কথায় কথায় ৫৬ ইঞ্চির ছাতির কথা বলেন। কিন্তু তাঁর হৃদয় কোথায় রয়েছে? প্রিয়াঙ্কা বলেন, জাতীয়তাবাদের কথা বলতে গেলেই প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের কথা তোলেন। তাঁর কাছে জাতীয়তাবাদের মানে হল, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি কী করেছেন সেটা তুলে ধরা। তাঁর কাছে কর্মসংস্থান বা কৃষকদের সমস্যা জাতীয়তাবাদ নয়। মোদিকে ‘উদ্ধত’ আখ্যা দিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, গত পাঁচ বছরে বিশ্বের সর্বত্র প্রধানমন্ত্রী গিয়েছেন। কিন্তু দেশের কৃষকদের সঙ্গে দেখা করার ফুরসত পাননি তিনি। মোদির কৃষক কল্যাণ প্রকল্পের সমালোচনা করে কংগ্রেস নেত্রী বলেন, এই সরকার কৃষকদের জন্য বছরে ছ’হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু একজন কৃষকের পরিবারে যদি পাঁচ জন থাকেন, তবে তাঁরা দিনে মাত্র দু’টাকা করে পাবেন। এটা কৃষকদের অসম্মান করা ছাড়া আর কিছুই নয়। এরপরেই তিনি কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের তুলনা টেনে বলেন, দল ক্ষমতায় এলে গরিব পরিবারকে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেবে।
প্রিয়াঙ্কার দাবি, গত পাঁচ বছরে পাঁচ কোটি কাজ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ২৪ লক্ষ পদ খালি পড়ে রয়েছে। নোটবাতিলের ফলে ৫০ লক্ষ মানুষ তাদের কাজ হারিয়েছেন। কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে ওই খালি পদ ভরা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন প্রিয়াঙ্কা। ১০০ দিনের কাজের নিশ্চয়তা প্রকল্পকেও ১৫০ দিন করা হবে বলে জানান তিনি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, বিজেপির যাবতীয় প্রতিশ্রুতিই মিথ্যায় ভরা। শুধু সংবাদপত্রে বড় হেডলাইন বানানোর জন্য তারা প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কাজের বেলায় দেখা যায়, কিছুই করে না। জনতার উদ্দেশে প্রিয়াঙ্কার প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা ঢোকাবেন। আর সেই দলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে বলে দিলেন, ওটা ছিল ভোটের ভাঁওতা। এরপরেও ওই দলকে বিশ্বাস করবেন।
এর আগে সাধ্বী প্রজ্ঞার মন্তব্য নিয়েও সরব হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। ট্যুইটারে বিজেপিকে একহাত নিয়ে প্রিয়াঙ্কা লেখেন সাধ্বীর মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখাটাই যথেষ্ট নয়। নাথুরাম গডসে প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান খোলসা করার হিম্মত বিজেপির কি আছে?