বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। তা সত্ত্বেও বাংলাজুড়ে গেরুয়া শিবিরের উত্থান রাজনৈতিক পরিসরে বড় প্রভাব ফেলে। তারপর থেকে বিজেপির লাগাতার রাস্তায় নেমে আন্দোলন এবং তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে ওঠার লড়াই প্রত্যক্ষ করেছে সাধারণ মানুষ। গত ডিসেম্বরে হঠাৎ করে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেয়, রাজ্যজুড়ে রথযাত্রা বের করা হবে। যা নিয়ে দীর্ঘ তিনমাসের বেশি সময় ধরে তৃণমূল-বিজেপি সঙ্ঘাত তীব্র হয়ে ওঠে। রথযাত্রার অনুমতি বাতিল থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের হেলিকপ্টার ল্যান্ডিংয়ের সবুজ সঙ্কেত দেওয়া নিয়ে পদ্ম শিবিরের সঙ্গে সরাসরি লড়াইয়ে নেমে পড়ে রাজ্য প্রশাসন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট- একের পর এক মামলার গেরোয় রথযাত্রার কর্মসূচি শিকেয় তুলে রেখে বাংলায় পদ্ম চাষ করার জন্য জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেয় গেরুয়া শিবির। বিজেপির অভিযোগ, ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে জেলায় জেলায় সভা করার অনুমতির ক্ষেত্রেও বাধা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। এই চাপান-উতোর চলতে চলতেই চলে এল লোকসভা ভোট। আদর্শ নির্বাচনীবিধি জারি হওয়ার পর থেকে রীতিমতো বন্যার জলের স্রোতের মতো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা বাংলায় আসতে শুরু করেন। এ প্রসঙ্গে সভা আয়োজনের দায়িত্বে থাকা ওই নেতা জানান, টাকা-পয়সা নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে হাই প্রোফাইল এই নেতাদের সভার ব্যবস্থা করার মতো একনিষ্ট কর্মী জেলায় জেলায় পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতা ছিল। তবে বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষের বাড়তে থাকা সমর্থনকে হাতিয়ার করে প্রায় সবটাই উতরে দেওয়া গিয়েছে। তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, টাকার অভাব না থাকলেও সাংগঠনিকভাবে দুর্বল ছিলাম। কিন্তু ভোট প্রচারের শেষদিনে এসে উপলব্ধি করতে পারছি, বাংলার মানুষের সমর্থন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। না হলে এই অসাধ্য সাধন করতে পারতাম না।