কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
গত এক বছরের মধ্যে বসিরহাট, তমলুক, আরামবাগ ও বারুইপুরে কৃষি দপ্তরের অফিসে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার ঘটনা জানা গিয়েছ। লোকসভা ভোটপর্ব চলার সময় বারুইপুরের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। চাকরিপ্রার্থী ওই জাল নিয়োগপত্র নিয়ে অফিসে চলেও এসেছিলেন। সেখানে কর্মী-আধিকারিকদের জেরার মুখে পড়ে চলে যান। পরের দিন ফের আসার কথা জানিয়ে গেলেও আর অফিসমুখী হননি ওই ব্যক্তি। আরামবাগে চাকরিপ্রার্থী অফিসে এসেছিলেন। সব জানার পর আর আসেননি। বসিরহাট ও তমলুকে চাকরিপ্রার্থীরা নিয়োগপত্র নিয়ে অফিসে চলে আসেননি। বিভিন্ন সূত্রে অফিসে খোঁজখবর করেছিলেন। জাল নিয়োগপত্রের কপি কৃষি দপ্তরের কর্মীদের কাছে এসেছে। মহাকরণ থেকে ইস্যু হয়েছে, এমন জাল নিয়োগপত্রগুলিতে অশোকস্তম্ভ, বিশ্ববাংলার লোগো, চিঠির নম্বর, আধিকারিকের স্ট্যাম্প, সই প্রভৃতি আছে। বেতন হার কী হবে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
দপ্তরের শীর্ষকর্তারা এই জাল নিয়োগপত্রের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও কর্মী সংগঠন তদন্তের দাবি করছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের কোর কমিটির সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সরকারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেয় করার পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে এটা করা হতে পারে। টাকাপয়সা নিয়ে এরকম জাল নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা দরকার। পুলিসে অভিযোগ দায়ের হলে এই চক্রের পিছনে কারা আছে, তা জানা যাবে। কিন্তু তা না হওয়ায় কর্মী সংগঠন অসন্তুষ্ট।