পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নির্বাচনী প্রচারের শেষ লগ্নে এদিন সন্ধ্যায় দিল্লিতে জরুরি সাংবাদিক বৈঠক ডেকে রাজ্যের উপর যে সমস্ত বিধিনিষেধ কমিশন চাপিয়ে দেয়, তখন উত্তর কলকাতায় পদযাত্রা সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গোটা বিষয়টি জানার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে দলের সিদ্ধান্ত জানাতে তিনি এদিন রাতেই কালীঘাটের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। মমতা বলেন, গোড়া থেকেই রাজ্যের বাহিনীকে অন্ধকারে রেখে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে ভোট করাচ্ছে কমিশন। নির্বাচনের কাজে যে সব বিশেষ পর্যবেক্ষকদের আনা হয়েছে, তাঁরা সবাই অবসরপ্রাপ্ত। তাঁদের কোনও এক্তিয়ারই নেই সার্ভিস থাকা অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা সুদীপ জৈন জেলাশাসকদের হুমকি দিচ্ছেন। এমনকী অমিত শাহর রোড শো’য়ের যাবতীয় আয়োজন করার জন্য কলকাতার পুলিসকেও তিনি চিঠি দিয়েছেন। এসব করা যায় নাকি!
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, রোড শো’য়ের নামে বাংলার ঐতিহ্যকে আঘাত করেছে বিজেপি। অমিত শাহ বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে গোলমাল করলেন। গোটা কলকাতাকে দাঙ্গার মুডে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বাবরি মসজিদ ভাঙার পরেও এরকম উত্তেজনা হয়নি। মমতা বলেন, অন্যায় করলেন অমিত শাহ আর তাঁর দল। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। কেন শো-কজ করা হবে না অমিত শাহকে। উল্টে সাংবাদিক সম্মেলন করে কমিশনকে হুমকি দেওয়া মাত্রই রাজ্যের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন ব্যবস্থা নিল কমিশন। তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশ্ন, কটা গোলমাল হয়েছে এখানে। একটা ঘাটালে আরেকটা বারাকপুরে। বাকি যা গোলমাল হয়েছে, সে তো সেন্ট্রাল ফোর্সই করেছে। কতগুলি জায়গায় গুলি চালিয়েছে ওরা, সবাই দেখেছে।
মমতার কথায়, গোটা বিষয়টি পরিকল্পিত। যদি প্রচারের সময়সীমা কমাতেই হয়, তাহলে বুধবার করলে না কেন? আসলে বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদির দুটি সভা রয়েছে। সেই সভার সুযোগ করে দেওয়া হল। লক্ষ্য, মমতার প্রচার আটকানো। সেটাই তো নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ আকারে জানিয়ে এসেছিলেন নির্মলা সীতারামন। প্রত্যয়ী তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, বাংলাকে এভাবে অপমান করার জবাব মানুষ ভোটেই দেবে। আর এসব বিধিনিষেধ চাপিয়ে আটকানো যাবে না আমাকে। মমতা বলেন, বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে প্রথম সভা করব মথুরাপুরে। এরপর ডায়মন্ডহারবারে সভা সেরে বেহালায় হবে পদযাত্রা। এরপর সন্ধ্যায় যাদবপুরের সুকান্ত সেতু থেকে শুরু হওয়া আরও একটি পদযাত্রা সেরে রোড শো হবে দক্ষিণ কলকাতায়।