উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে এদিন আত্মপক্ষ সমর্থনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, তৃণমূল নিজেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। অমিত শাহর এই অভিযোগ উড়িয়ে এদিন পার্থবাবু একটি ভিডিও দেখান সাংবাদিক সম্মেলনে। সেখানে দেখা যায়, কয়েকজন গেরুয়া পোশাক পরা যুবক হাতে লাঠি নিয়ে বিধান সরণীতে বিদ্যাসাগর কলেজের ক্যাম্পাসের গেট টপকে ভিতরে ঢুকছে। পার্থবাবু বলেন, এই ভিডিওতেই স্পষ্ট বহিরাগতরা কলেজে ঢুকেছে। এরাই আছাড় মেড়ে ভেঙেছে বিদ্যাসাগরের মূর্তি। পার্থবাবুর দাবি, এটা পূর্ব পরিকল্পিত। বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব যে দাবি করছে, তা অসত্য। তদন্ত না করলেও সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছে বিজেপির গুণ্ডারা কীভাবে কলেজের ঘরে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। এর জবাব দিতে হবে বিজেপিকে। পার্থবাবু মনে করেন, আগামী ২৩ মে লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি বুঝতে পারবে মানুষ তাদের জবাব দিয়ে দিয়েছে। তাই হতাশা থেকেই কেন্দ্রের শাসকদল এই আক্রমণ করেছে বলে দাবি তৃণমূল মহাসচিবের। বিদ্যাসাগর কলেজ হেরিটেজ মর্যাদাপ্রাপ্ত। তাই ভাঙচুরের ঘটনায় কলেজের সম্পত্তি সহ যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা পুরনো অবস্থায় ফেরাতে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর সমস্ত আর্থিক ব্যয়ভার গ্রহণ করবে বলেও ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী। ইতিমধ্যেই বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবার্ষিকী উদযাপনে রাজ্য সরকার নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে একটি কমিটি গড়া হয়েছে। যার চেয়ারম্যান হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী স্বয়ং। পার্থবাবু বলেন, তাঁর মতো প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তির দ্বিশত জন্মবার্ষিকী পালনের উদ্যোগ যখন চলছে, তখন গেরুয়াবাহিনীর এই তাণ্ডব এবং মূর্তি ভাঙার মতো জঘন্য কাজ রাজ্যবাসীর মাথা নিচু করে দিয়েছে বলেই তাঁর দাবি।