বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
তবে ‘চমক’ দেওয়ার কথা বললেও বামেরা এবার কত আসনে জয়লাভ করতে পারে, সে ব্যাপারে কোনও সংখ্যার কথা তিনি উল্লেখ করতে চাননি এদিন। কেবল নিজেদের নয়, তৃণমূল, বিজেপি সহ অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের ক্ষেত্রেও তিনি সম্ভাব্য জয়ী আসনের সংখ্যা বলতে চাননি। এব্যাপারে তাঁর যুক্তি, এখনও এক দফার ভোট বাকি। নির্বাচন আমাদের কাছে একটা রাজনৈতিক যুদ্ধের মতো। আমরা সব আসনেই জয়ের জন্য লড়াই করে থাকি। তাই আমি বা আমাদের দল কখনও এই ধরনের যুদ্ধের মাঝে সম্ভাব্য আসন সংখ্যার উল্লেখ করি না।
এবার যেভাবে বাংলার ভোটারদের মধ্যে সরাসরি বিভাজনের উন্মাদনার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তা আগে কখনও লক্ষ্য করা যায়নি বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন। খাতায়-কলমে পরিষদীয় রাজনীতিতে তাদের তুলনামূলক অস্তিত্ব থাকলেও ভোট ভাগাভাগির এই যাঁতাকলে পড়ে বামেরা এখন প্রধান বিরোধীপক্ষের তকমা হারিয়েছে। সেই জায়গায় উঠে এসেছে বিজেপি। এবারের নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলকে বহু কেন্দ্রেই সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে তারা— এমনটাই ধারণা তৈরি হয়েছে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে। বিশেষ করে নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ বিজেপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনঘন সফর গেরুয়া শিবির সম্পর্কে পর্যবেক্ষকদের সেই ধারণা তৈরিতে আরও সাহায্য করেছে। সেক্ষেত্রে বামেরা এবারের ভোটে নাকি অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে বলে তাঁরা মনে করছেন। কিন্তু মিডিয়া বা পর্যবেক্ষকদের এই ধারণা বা অভিমতের সঙ্গে কিছুতেই একমত হচ্ছেন না সিপিএমের বঙ্গ ব্রিগেডের নেতারা। তাঁদের সঙ্গে একই সুরে এবার সঙ্গত দিলেন সাধারণ সম্পাদকও।
ইয়েচুরি এদিন বলেন, মেরুকরণের সমীকরণ কার্যকর করতে ইদানীং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নতুন কৌশল নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন জনসভার বক্তৃতায় এবং সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে বারবার বলছেন, বাম ভোট নাকি রামে যাচ্ছে। বামপন্থীরা তৃণমূলকে হারাতে এবার বিজেপি’কে ভোট দিচ্ছে। আমরা নাকি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এবং চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, আমরা দলগত এবং নীতিগতভাবে এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। এটা পুরোপুরি আরএসএস-এর পরিকল্পনাপ্রসূত একটা প্রচার। আরএসএস-এর এই পরিকল্পনায় বিজেপি এবং তৃণমূল উভয়েই রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এমন কিছু ঘটনার খোঁজ পেয়েছি যেখানে সঙ্ঘ পরিবারের লোক নিজেদের সিপিএম বা বামপন্থী বলে পরিচয় দিয়ে ‘এবার রাম, পরে বাম’ স্লোগান দিচ্ছে। তবে বাংলার সচেতন মানুষ এই ফাঁদে পা দিচেছ না।