কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন কলেজের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা একযোগে প্রতিবাদ অবস্থানে শামিল হন। তাঁরা মঙ্গলবার বহিরাগতদের তাণ্ডবের কথা বলছিলেন। শিক্ষিকারা ভয়ে কলেজের পুরনো বিল্ডিংয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডু। যদিও, পঠনপাঠন এদিন স্বাভাবিকই হয়েছে। কলেজের ইন্টারনাল পরীক্ষাও হয়েছে। ইউনিয়ন রুমে বিদ্যাসাগরের ভাঙা মূর্তিতেই মালা দিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিন কলেজ ক্যাম্পাসের প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন টিএমসিপি’র রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, এই ঘটনায় আমাদের অন্তত ন’জন সদস্য গুরুতরভাবে জখম হয়েছে।
মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে একের পর এক মিছিল বিদ্যাসাগর কলেজের সামনে আসতে থাকে। সকাল ১০টা নাগাদ প্রথম মিছিল করে এসইউসিআই। দলের পলিটব্যুরো সদস্য সৌমেন বসু কলেজ স্কোয়ারে বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মালা দিয়ে মিছিলের সূচনা করেন। সারা রাজ্যেই তারা প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। এর পরেই বামফ্রন্টের বিশাল মিছিল বের হয়। কলেজ স্কোয়ার থেকে তা যায় বেথুন কলেজ পর্যন্ত। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পলিটব্যুরোর সদস্য প্রকাশ কারাত, রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্ররা উপস্থিত ছিলেন মিছিলে। পাশাপাশি মহম্মদ সেলিম, নীলোৎপল বসু, তপন সেনদের মতো পলিটব্যুরোর সদস্যরাও পা মিলিয়েছেন মিছিলে। ছিলেন ফ্রন্টের অন্যান্য শরিক দলের নেতারাও। সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, নিন্দার কোনও ভাষা নেই। এটা একটি মূর্তি ভাঙা নয়, বাংলার সংস্কৃতির উপর কুঠারাঘাত। তিনি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন, যেহেতু এই মিছিলটি তারা ভিডিও রেকর্ডিং করেছে, তাই মূর্তি ভাঙার তদন্ত কমিশনই করুক। তিনি এও বলেন, এটা বিজেপি-তৃণমূলের গট-আপ গেম।
সিপিআই (এমএল) এবং তাদের ছাত্র সংগঠন আইসা অমিত শাহর একটি কুশপুতুল নিয়ে মিছিল করে আসে কলেজের সামনে। সেখানেই সেটিকে পোড়ায়। পরে আরও একটি মিছিলে একজনকে প্রতীকী বিদ্যাসাগর সাজিয়ে মিছিল করে তারা। কংগ্রেস এবং ছাত্র পরিষদও কলেজ স্কোয়ারে প্রতিবাদ সভা এবং মিছিল করে। ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি সোমদীপ ঘোষ সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে আহত ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখান টিএমসিপি সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডলের নেতৃত্বে। তাঁরা বিজেপি এবং অমিত শাহ গো-ব্যাক ধ্বনি দিতে থাকেন। মণিশঙ্করের দাবি, গণতান্ত্রিক অধিকার বলেই মঙ্গলবার কালো পতাকা দেখানো হয়েছে। গো-ব্যাক ধ্বনিও দেওয়া হয়েছে। কোন গণতন্ত্রে বাস করি যে, তার জন্য মার খেতে হবে? বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র কুশল চক্রবর্তী বলেন, ওরা ব্যারিকেড ডিঙিয়ে এসে আমাদের মেরেছে। সবাই হিন্দিতে কথা বলছিল। পুলিস প্রাণপণ চেষ্টা করেও আমাদের বাঁচাতে পারেনি। ওরা পুলিসের দিকেও তেড়ে গিয়েছিল। সংখ্যায় ওরা অনেক বেশি ছিল। এদিন বামমনস্ক শিক্ষক এবং সাধারণ মানুষের একটি মিছিল যায় আরএসএসের রাজ্য দপ্তরের দিকে। সেখানে গোলমালের আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় মিছিলের উপর পুলিস লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। যদিও, পুলিসের তরফে লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।