রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ভোটের বাজারে এনআরসি সেভাবে দাগ ফেলতে না পারলেও অসমের বাংলাভাষীদের একাংশের কাছে তা দুঃস্বপ্নের মতো। এদিন যুব ছাত্র ফেডারেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সহদেব দাস বলেন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনায়াল একসময় ‘আসু’র সভাপতি ছিলেন। তাই তিনি অসমের বাঙাল খেদাও আন্দোলনকে কার্যকর করতে বিজেপিকে কাজে লাগাচ্ছেন। তাঁর মতে, প্রকৃত ভারতীয়দের অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে বাংলাভাষীদের বিদেশি অভিযোগে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। উল্লেখ্য, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছে। সহদেববাবু জানান, বিভিন্ন ডিটেনশন ক্যাম্পে শুনানির নামে হেনস্তা করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, এনআরসি নবায়নের নামে পর্যাপ্ত নথিপত্র থাকার পরেও বাঙালির উপাধি, নাম, স্থান নির্ধারণ করে একতরফাভাবে প্রায় ৩০ লক্ষ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে খসড়া থেকে। যেসব বাংলাভাষীর নাম এনআরসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের নামেও অসম ছাত্র সংস্থা নানাভাবে অভিযোগ করছে। কিন্তু শুনানি পর্বে তারা গরহাজির থাকছে। ফলে এনআরসি কর্তৃপক্ষ ওইসব ভিত্তিহীন অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে বাংলাভাষীদের নাগরিকত্ব খারিজ করছে। এর বিরুদ্ধে জনমত তৈরিতে তাঁরা বাংলায় এসেছেন বলে জানান সহদেববাবু। সন্দেহভাজন নাগরিক হিসেবে বাংলাভাষীদের যে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হচ্ছে, তা কার্যত ফ্যাসিস্ট কায়দা বলে দাবি করছেন এনআরসি বিরোধী আন্দোলনকারীরা।