উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
নির্বাচন পর্বের গোড়ায় শহর কলকাতা ও বিধাননগরের পুলিস কমিশনার বদলকে এই প্রেক্ষিতে জুড়ে তোপ দেগেছেন মমতা। বলেছেন, আমাদের অধীনে আইন-শৃঙ্খলা পুরোপুরি থাকলে এরকম হতে দিতাম না। এটা তো লজ্জার। এক একটা ভোটের জন্য পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করা হচ্ছে। আক্ষেপের সুর মমতার গলায়, কোথায় প্রতিবাদ করব! সবার মুখ বন্ধ করিয়ে রাখা হয়েছে। একবার নয়, বারবার বলছি, রাজ্যে টাকার থলি নিয়ে নেমেছে বিজেপি। নির্বাচন কমিশনকেও জানিয়েছি, কিন্তু তারা তো নির্বাক। আমাদের অফিসারদের না সরালে এসব হত না। নতুন পুলিস কমিশনার নিয়োগকে তিনি যে ভালোভাবে নেননি, সে ইঙ্গিতও স্পষ্ট তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে। তাঁর কথায়, বড়বাজার, পোস্তা সহ আরও কয়েকটি জায়গায় যেখানে হাওলার কারবার চলে, সে সব দেখার দায়িত্ব কলকাতার পুলিস কমিশনারের। সেই কারবার যদি না ধরা হয়, আমি বলব এটা অন্যায়। ক্ষোভের সুর আরও চড়িয়ে মমতা বলেন, দমদম বিমানবন্দর বিধাননগর কমিশনারেটের আওতায়। সেখানকার পুলিস কমিশনারকেও সরিয়ে দেওয়া হল। বাইরে থেকে একের পর এক চপার আসছে। সেগুলো পরীক্ষা করা উচিত। আমি তো শুনছি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়িতেও টাকা আসছে।
এবার কটাক্ষের সুর নেত্রীর গলায়, এক একটা চুনোপুঁটি নেতা, ছ’টা করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ডো। আর তার আড়ালে কয়েক বাক্স টাকা। এভাবে ত্রিপুরা হয়েছিল। ওরা (বিজেপি) ভাবছে, এখানেও বোধহয় এসব করা যাবে। অত সোজা নয়। এরপরই মমতার হুঁশিয়ারি, ১০ দিন পরে তো নির্বাচন কমিশন থাকবে না। কে কে টাকা নিচ্ছে, দেখব। প্রশাসনিক আধিকারিকরাও যদি সেই তালিকায় থাকেন, আর যদি ভাবেন কোনও খোঁজ রাখছি না, ভুল করবেন। প্রশাসনের কেউ যদি টাকা নিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁকে কিন্তু ছাড়ব না।
নির্বাচনের শেষ পর্বে এরাজ্যে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ জুটির অতিসক্রিয়তা নিয়েও এদিন মুখ খুলেছেন মমতা। বলেছেন, অন্য জায়গায় খুব একটা সুবিধা হচ্ছে না। তাই বাংলায় এত উঁকিঝুকি। ভাবছে এখানে একটু হিন্দু-মুসলমান করি, টাকা খরচ করি, দলিত-নমঃশূদ্র করি, ইডি, সিবিআই আর ইনকাম ট্যাক্সকে পিছনে লাগাই, যদি সিট আসে। গোল্লা আসবে, কাঁচকলা পাবে। সবার (বিরোধীদের) বিরুদ্ধে লাগছে। গলায় স্বর সপ্তমে চড়িয়ে মমতার হুঙ্কার, দাঙ্গার নায়করা ভাবছটা কী! ভয় দেখিয়ে ক্লিনচিট পেয়ে গেলেই সব শেষ হয়ে গেল। আবার সব অভিযোগ রিভিউ হবে। নোট বাতিল থেকে রাফাল- সব বিষয়ে তদন্ত হবে।