বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ঘুর্ণিঝড় ফণীর বিষয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে ফোন করেছিলেন। কিন্তু তিনি কোনও জবাব দেননি বলে অভিযোগ করেন রাজনাথ। এই ধরনের ঘটনা বিরল বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, সম্ভবত এই প্রথমবার কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ফোনের কোনও জবাব দিলেন না। এরপরই মমতাকে নিশানা করে রাজনাথের প্রশ্ন, ‘একজন মুখ্যমন্ত্রী যদি এমন ব্যবহার করেন, তাহলে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো এবং সংবিধানের কী হবে?’
পাশাপাশি মঙ্গলবার আত্মবিশ্বাসের সুরে রাজনাথ জানিয়েছেন, ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের চেয়েও এবার বেশি আসন পাবে বিজেপি। এমনকী, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসনে এনডিএ জোট জয় পাবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। এদিন বিরোধীরা কেন কোনও প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে না, তা নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন রাজনাথ। তিনি বলেন, আর মাত্র একদফা ভোট বাকি। তাই বিরোধীদের তরফে দেশের মানুষকে অন্ধকারে না এখনই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম জানিয়ে দেওয়া উচিত। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, কংগ্রেস ‘হিন্দু সন্ত্রাস ও গেরুয়া সন্ত্রাস’-এর কথা বলে সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইকে দূর্বল করে দিচ্ছে।
মঙ্গলবার, দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজনাথ সিং। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ২০১৪-র তুলনায় আমরা এবার অনেক বেশি আসনে জিতব। এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। গতবার ভোটাররা প্রত্যাশা নিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন। সেগুলি পূরণ হয়েছে। তাই এবার তাঁরা ভোট দিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের উপর আস্থা ও বিশ্বাস থেকে। ‘প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ ইস্যুতে বিরোধীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাজনাথ বলেন, গতবার নির্বাচন ছিল মোদিজি বনাম সনিয়া গান্ধী ও মনমোহন সিংয়ের মধ্যে। কিন্তু এবার মোদিজির প্রতিপক্ষের নাম কেউ জানে না। তাই দেশবাসীকে অন্ধকারে না রেখে বিরোধীদের উচিত এখনই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা। তাঁর সংযোজন, বিরোধীরা খুব ভালো করে জানে, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। তাই কোনও নেতা বা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।
মোদির উদ্দেশে কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘নীচ আদমি’ বা ‘ছোটলোক’ মন্তব্য নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। এই নিয়ে রাহুল গান্ধীর দলকে নিশানা করেছেন রাজনাথ। দলীয় নেতার এই মন্তব্যের জন্য কংগ্রেসের কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘নরেন্দ্র মোদির মতো কোনও প্রধানমন্ত্রীকে এত অপমান সহ্য করতে হয়নি। আইয়ার যা বলেছেন, সে বিষয়ে কংগ্রেসকে জবাব দিতে হবে।’ পাশাপাশি, বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীর বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। বিজেপিকে ‘ডুবন্ত জাহাজ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বিএসপি সুপ্রিমো। সেই সঙ্গে মোদির প্রচারে আরএসএস সদস্যদের দেখা যাচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি। এর পাল্টা দিতে গিয়ে বিএসপিকেই ‘ডুবন্ত জাহাজ’ বলে কটাক্ষ করেন রাজনাথ। আরএসএস প্রসঙ্গে তাঁর জবাব, ‘এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এরা সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেয় না।’ এদিকে, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে একাধিক উন্নয়নমূলক কাজেরও উল্লেখ করেছেন বিজেপির এই প্রবীণ নেতা।