বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
ভোটের অশান্তি নিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করতে রবিবার গভীর রাতে কলকাতায় আসেন সুদীপ জৈন। সোমবার সকালে প্রথমে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ভোটের হিংসা নিয়ে প্রবল অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই মতো সিইও দপ্তর থেকে তৃণমূল, বিজেপি, বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসকে খবর দেওয়া হয়। বেলা ১১টা থেকে জেলাশাসক, পুলিস সুপার, পুলিস কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন সুদীপ জৈন। সেই বৈঠকে বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও ভোটে হিংসা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সুদীপ জৈন ভারতী ঘোষের নাম না করে বলেন, একজন মহিলা প্রার্থীকে কেন হেনস্তা হতে হবে? মহিলা পুলিস কী করছে? তিনি জানতে চান, ভোটের আগে অপরাধীদের থানায় মুচলেকা দিতে বলা হয়েছিল, তাহলে এত গোলমাল কারা করছে? কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? ভোটের দিন ১৪৪ ধারা মানা হচ্ছে না। অশান্তি হচ্ছে বুথের সামনেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গোলমালের জায়গায় রুটমার্চ করাতে হবে। তাদের ব্যবহার করতে হবে। সেই সময় বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে বলেন, যারা গোলমাল পাকায়, তাদের ভোটের আগের দিন গ্রেপ্তার করে থানায় আটকে রাখতে হবে। বারুইপুরের পুলিস সুপার রশিদ মুনির খান জবাবে বলেন, তাহলে তো থানা ভরে যাবে। কাজ করা যাবে না। এতে বেজায় চটে যান সুদীপ জৈন। তিনি বলেন, আপনি যদি না পারেন, তাহলে যে পারবেন, তাঁকে নিয়ে আসি।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্যর কাছে তিনি জানতে চান, এক্সপেন্ডিচার অবজারভারকে গাড়ি দেওয়া হচ্ছে না কেন? বিধাননগরের এসডিও সৈকত চক্রবর্তীর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সুদীপ জৈন জানিয়ে দেন, ১৫ মিনিটের মধ্যে ক্যুইক রেসপন্স টিমকে পৌঁছতে হবে। ওই বৈঠকের পরে সুদীপ জৈন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে গণনা কেন্দ্র দেখতে চান। তা দেখে অবশ্য খুশি হন। পরে কীভাবে গণনা করতে হবে, তার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে রাত কাটিয়ে আজ, মঙ্গলবার সকালে চলে যাবেন সুদীপ জৈন।