উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
ঘটনাচক্রে আট বছর আগে এই দিনেই চৌত্রিশ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে পরিবর্তনের সূচনা করেছিলেন মমতা। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে এবার দিল্লি দখলের লক্ষ্য বেঁধে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মেটিয়াবুরুজে জনতার মেজাজ বুঝেই শুধু ‘চৌকিদার’ বলে চুপ করে গেলেন মমতা। মাঠ উপচানো জনতার জবাবি গর্জন, ‘চোর হ্যায়।’ প্রায় মিনিট খানেক মঞ্চে চুপ নেত্রী। জনতার এই হুঙ্কার দৃশ্যতই তিনি তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করলেন। কারও নাম না করে বললেন, শুনতে পাচ্ছেন, মানুষ কী বলছে? এই আওয়াজই আজ ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে গোটা দেশে।
জনতার উদ্দেশে মমতার আর্জি, জানি রোজার সময় কষ্ট হবে ভোট দিতে। কিন্তু মোদি থাকলে আরও কষ্ট বাড়বে। সেই কথাটা খেয়াল রেখেই ভোট দেবেন। সিপিএম আর কংগ্রেসকে দিয়ে ভোট বিভাজনের চেষ্টা করা হচ্ছে। মোদিকে হটাতে গেলে একটি ভোটও তৃণমূলের বাইরে কাউকে দেওয়া চলবে না। রাজ্যে বামেদের সঙ্গে বিজেপির গোপন বোঝাপড়া হয়েছে বলে এদিনও সতর্ক করে দিলেন ভোটারদের। তাঁর মতে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিয়ে রাজ্যের পুলিস দিয়ে শান্তিতে ভোট করা যেত। রাজ্যের বিষয় আইনশৃঙ্খলা। তাতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ মানা যায় না। এদিন মোদির পাশাপাশি নাম না করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা। অমিত শাহ এদিনই এক জনসভায় দাবি করেন, তৃণমূল শাসন বাংলাকে কাঙাল করে দিয়েছে। ক্ষুব্ধ মমতার জবাব, ২৩মে যখন ভোটবাক্স খোলা হবে, তখনই টের পাবেন। মোদিবাবু বেশি বেড়ো না, বাঘ থেকে ইঁদুর হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই যে ভোট হয়ে গিয়েছে, তাতেই দিল্লি থেকে মোদির বিদায় নিশ্চিত বলে মনে করেন মমতা। তাঁর হিসেবে বিজেপি ১২৫ থেকে ১৩০ আসন পাবে। বাকি ছোট আঞ্চলিক দলগুলি মিলে নতুন সরকার গড়া হবে। সেই সরকার গঠনে যে তৃণমূলই চালকের আসনে থাকবে, সেটাও জানিয়ে দেন তিনি। বাংলায় বিভেদের কোনও স্থান নেই। ভোটের আগে ডায়মন্ডহারবারে দাঙ্গা লাগাতে আরএসএস তৎপর হয়েছে বলেও দাবি মমতার। হিন্দু-মুসলমান একসঙ্গে থাকে। দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে তিনি বলেন, গঙ্গাসাগরে বিধায়ক শামিমাকে নিয়ে গিয়ে তাঁর সন্দেহ হয়েছিল, মন্দিরে ঢোকা নিয়ে সমস্যা হতে পারে। কিন্তু তাঁকে অবাক করে দিয়ে কপিলমুনির আশ্রমের প্রধান পুরোহিত সাদরে ডেকে নেন শামিমাকে। মমতার দাবি, প্রকৃত হিন্দু সাধুরা বিভেদ করেন না। যেমন বেলুড় মঠে দরগা রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তোষণের অভিযোগ তোলা হয়। মমতার জবাব, মুসলমানরা আমার ঘরের ছেলে, হিন্দুরাও। তাঁর ভাইপোর পৈতের পর প্রথম মুখ দেখেছিলেন সস্ত্রীক ফিরহাদ হাকিম। তাতে তাঁর হিন্দু ধর্মে কোনও অসুবিধা হয়নি।