বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, প্রথম তিন দফার ভোটের লড়াইয়ে উত্তরবঙ্গে অপেক্ষাকৃত ‘ফিল গুড’ পরিবেশ পেয়েছে বিজেপি। ভোটরথ দক্ষিণবঙ্গে ঢুকতেই ২৮ থেকে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট নিয়ে অঙ্ক কষতে শুরু করেছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রানাঘাটে নির্বাচনী ভাষণে সংখ্যালঘুদের নিয়ে আলাদা করে সময় দিয়েছেন। বিজেপি সূত্রের দাবি, মুসলিম ভোট তারা যে বিশাল সংখ্যায় পাবে না, সে ব্যাপারে দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নিশ্চিত। তবে এই ‘ব্লক ভোট’-এর অধিকাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দখলে চলে গেলে বাংলায় বিজেপির ভালো ফলের আশা ক্রমশ কমে আসবে। তাই যে করেই হোক সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরাতে গোটা রাজ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন পদ্ম শিবিরের নেতারা। এক্ষেত্রে কংগ্রেস-সিপিএমের জোট-জট বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে তাঁদের। তার উপর তিন তালাকের মতো ইস্যুগুলিকে সামনে এনে নিজেদের পালে মুসলিম সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। তাই সচেতনভাবেই নরেন্দ্র মোদি থেকে দিলীপ ঘোষরা সংখ্যালঘু বন্দনায় নেমেছেন।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে যে ১০টি লোকসভা আসনে ভোট হয়েছে, তার মধ্যে রাজ্যের শাসকদল খাতা খুলতে পারবে না বলেও আত্মবিশ্বাসী মন্তব্য করেছেন দিলীপবাবু। তাঁর দাবি, এর মধ্যে সাত থেকে আটটি আসন বিজেপির দখলে থাকবে। এর প্রধান কারণ হিসেবে গোটা বাংলায় মোদি ঝড়ের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি। মেদিনীপুর কেন্দ্রে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মানস ভুঁইঞা প্রসঙ্গে দিলীপবাবুর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, উনি পুরনো রাজনীতিক। অনেক দল করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অতীতে বহুবার ম্যাজিক দেখিয়েছেন, এবার উনি নিজে ম্যাজিক দেখবেন। মেদিনীপুর কেন্দ্রে নিজের জয় সম্পর্কে আশাবাদী খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর দাবি, গত পঞ্চায়েত ভোটে মানসবাবুর খাস এলাকা সবংয়ে জয়লাভ করেছে বিজেপি। এলাকার মানুষকে তিনি বোঝাচ্ছেন, মেদিনীপুরে পদ্ম ফোটান। তাহলে গোটা কেন্দ্রের উন্নয়ন হবে। কারণ, মানসবাবু হেরে গেলেও রাজ্যসভার এমপি থাকবেন। তিনি নিজে লোকসভার এমপি হবেন। তখন দু’জনে মিলে মেদিনীপুরের সার্বিক উন্নয়ন করবেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে কুর্তা-মিষ্টি পাঠানো নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনিও এনিয়ে রাজনৈতিক সৌজন্যের যুক্তি দেখিয়েছেন।