বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ধর্মীয় বিভাজন এরাজ্যের রাজনীতিতে প্রবল হাওয়া তুলেছে বলে মনে করেন সোমেনবাবু। তারজন্য বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। ধর্মীয় তাস খেলায় একে অপরের পরিপূরক হিসেবে লোকসভা নির্বাচনের ময়দানে নেমেছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির তোলা মুসলমান তোষণের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন সোমেনবাবু। তিনি বলেন, বহিরাঙ্গে কিছু বদল ঘটালেও এরাজ্যে সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজনীতিতেই বেশি আগ্রহী শাসকদল। তাঁর দাবি, সংখ্যালঘুরা তৃণমূল জমানায় সরকারি চাকরিতে উপেক্ষিত রয়েছে। তিনি বলেন, সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের আমলে ১২ শতাংশ সরকারি চাকরি পেয়েছিল সংখ্যালঘুরা। তারজন্য তাঁকে লুঙ্গি বা টুপি পরতে হয়নি। তাঁর মন্ত্রিসভায় চারটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে সংখ্যালঘু সদস্য ছিলেন। অথচ বর্তমান সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে। ওই সম্প্রদায়ের কোনও গুরুত্বই নেই। এদিকে, সংখ্যালঘু তোষণের যে দাবি বিজেপি করে থাকে, তারও কোনও সারবত্তা নেই। হিন্দু ভোট ব্যাঙ্ক অটুট রাখতে ধর্মীয় মেরুকরণের যে উদ্যোগ বিজেপি নিয়েছে, তাকেই পরোক্ষে মদত দিয়ে চলেছে তৃণমূল। সোমেনবাবুর ব্যাখ্যা, মুসলমানদের সামনে বিজেপি জুজু দেখিয়ে ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতে গিয়ে বস্তুত গেরুয়া বাহিনীকেই বাংলায় জায়গা করে দিচ্ছে তৃণমূল। তাঁর মতে, একইসঙ্গে তাই বিজেপি ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই বজায় রাখা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। সেকাজে বামেদের পাশে চায় কংগ্রেস। সোমেনবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ বিজেপি বিরোধী নন। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধী হলেও বাবরি কাণ্ডের অন্যতম নায়ক লালকৃষ্ণ আদবানিকে পছন্দ করেন। মোদি ছাড়া অন্য কাউকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়ে ভালো বিজেপি, খারাপ বিজেপি খুঁজে চলেছেন মমতা।
দল বদলে লোকসভায় প্রার্থী হতে গিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ছ’জনকে ইস্তফা দিতে হয়েছে। সেই শূন্য আসনে ২০ মে উপনির্বাচন। সেই ভোটে কি বামেদের সঙ্গে সমঝোতা করার কথা ভাবছেন? জবাবে সোমেনবাবু জানান, তাঁরা নিজেদের মতো প্রার্থী বাছাই করছেন। কিন্তু বামেদের তরফে কোনও আবেদন এলে আলোচনায় তাঁরা প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর মতে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে লোকসভায় সমঝোতা না হলেও ভবিষ্যতে তার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ঐক্য শুধু ভোট ভিত্তিক হলে চলবে না, স্থায়ী হতে হবে। কেননা ধর্মান্ধতার যে প্রতিযোগিতা বাংলায় চলছে, তার বিরুদ্ধে শুধু সাংগঠনিক নয়, নীতির লড়াইও চালাতে হবে।