পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
একে গরম। সঙ্গে আবার ভোট। ফলে বহু সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কেই রক্তশূন্য অবস্থা। অবশ্য দপ্তরের কর্তাদের দাবি, শুধুমাত্র জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল ছাড়া রাজ্যের আর কোনও ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তশূন্য অবস্থা নেই। তবে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে লোকসভা ভোট, গ্রীষ্মকাল ইত্যাদির কারণে রক্তের ভাঁড়ারে যে যথেষ্ট টান পড়েছে, সেকথা মেনে নিয়েছেন কর্তারা। রক্ত সঙ্কটে জেরবার ছ’টি জেলা। সেগুলি হল মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, মালদহ, দার্জিলিং এবং দুই দিনাজপুর। সূত্রের খবর, মোট রক্তের যা চাহিদা, বর্তমানে সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে সেই তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ রক্ত কম রয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রের খবর, ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকা রক্ত সঙ্কট এবং তার জেরে মানুষের ভোগান্তি কমাতে এদিন আরও কতগুলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে দপ্তর। সেগুলি হল, এক, রক্তের পাঁচ অপরিহার্য পরীক্ষার কিট নিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এক মাসের কিট সংগ্রহ করা হবে। এতদিন কিট কেনা হতো রক্তের চাহিদা অনুযায়ী। দুই, রক্তদান শিবির থেকে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত আনার পর দ্রুততার সঙ্গে সবক’টি জরুরি পরীক্ষা করে, সেই রক্ত রোগী বা বাড়ির লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হবে। পরীক্ষায় দেরি বরদাস্ত করা হবে না। তিন, রক্তসঙ্কট মোকাবিলায় সচেতনতা বাড়াতে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রচার করা হবে।
কিন্তু, কেন এত রক্তসঙ্কট? দপ্তরের কর্তাদের ব্যাখ্যা, রক্তদান শিবিরের আয়োজন মূলত করে থাকে তিন ধরনের মানুষ। এক, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা, দুই, পুলিস এবং তিন, বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা। এই তিনটি ক্ষেত্রে যুক্ত মানুষজন বর্তমানে লোকসভা ভোটের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে পড়েছেন। ফলে মাথা খুঁড়েও শিবির আয়োজন করার লোক মিলছে না।
কিন্তু, সব জানা ও বোঝার পরও কীভাবেই বা মাসে মাসে গড়ে সাত থেকে দশটি করে রক্তদান শিবির করতে পারবেন ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তারা? এ প্রশ্ন করা হলে দপ্তরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, আমাদের সঙ্গে যুবকল্যাণ দপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের কথা হয়েছে। ডেঙ্গু মোকাবিলার রুটিন কার্যক্রম অনুযায়ী, তাঁদের সাহায্য আমরা পেয়ে থাকি। সেই নেটওয়ার্ক এবার রক্ত সঙ্কট মোকাবিলায় কাজে লাগানো হবে। ওদের কাছে বাংলার বহু ক্লাবের তালিকা রয়েছে। সব ক্লাব অংশগ্রহণ না করলেও ক্ষতি নেই, তবে কিছু ক্লাবের সক্রিয় অংশগ্রহণেই রক্তসঙ্কটের সমস্যা মেটানো সম্ভব। তাছাড়া রাজ্যের যেসব প্রান্তে ভোটগ্রহণ পর্ব মিটেছে, সেখানকার ক্লাবগুলিকে রক্ত সঙ্কট মোকাবিলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হবে।