কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বুধবার প্রধানমন্ত্রী এরাজ্যে দু’টি জনসভা করেন। প্রথমটি বীরভূমের ইলামবাজার দ্বিতীয়টি নদীয়ার তাহেরপুরে। দু’টি জনসভাতেই তাঁর ভাষণের মূল সুর বাঁধা ছিল মমতা বিরোধিতায়। দু’টি সভাতেই বক্তব্যের প্রতিটি শব্দেই তিনি তীব্র আক্রমণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। অন্যদিকে তিনি এদিন নির্বাচন কমিশনের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, গোটা বাংলার মানুষ দিদির বিরোধী। দিদি শুধু আমায় গালি দিচ্ছেন। আর নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও গালি দিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে অভিযোগ তুলছেন। ২০০৯ সালে দিদি বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছিলেন। সেনা নামানোর দাবি তুলেছিলেন। সেনার নেতৃত্বে নির্বাচন চেয়েছিলেন। বামেদের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে মানুষ দিদিকে চোখ বন্ধ করে ভোট দিয়েছিলেন। বাংলার মানুষ দিদিকে মাথায় তুলেছিলেন। কিন্তু দিদি রঙ বদলালেন, পতাকা বদলালেন। বামেদের থেকে আরও খারাপ কাজ শুরু করলেন। পশ্চিমবাংলার মানুষ দিদিকে সম্মান দিয়েছিলেন, সেই মানুষের সঙ্গে দিদি বিশ্বাসঘাতকতা করলেন। এখন গুন্ডাদের জন্য মমতা। আর জনগণের জন্য নির্মমতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন দফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, দিদি ভয় পেয়েছেন। আজ শুধু মোদি দিদির বিরোধী নয়, বাংলার মানুষ দিদির বিরোধী। দিদি চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু দেশের জনগণ জল ঢেলে দিয়েছে। প্রথম তিন দফার ভোটে যা হয়েছে তাতে মমতার সূর্য অস্ত যেতে শুরু করেছে। বাংলার প্রান্তে প্রান্তে আওয়াজ উঠেছে, সিন্ডিকেটের শাসন যেতে শুরু করেছে।
মোদি বলেন, দিদির শাসন অনুপ্রবেশে টপ গিয়ার লাগিয়েছে আর পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নে স্পিডব্রেকার দিয়েছে। বাংলায় বিনা তোলাবাজিতে আজ আর কোনও কাজ হয় না। স্পিডব্রেকার দিদি বর্তমান প্রজন্মের সাথে ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রতিও প্রতারণা করেছে।
তিনি বলেন, গরিবের জন্য দিদির চিন্তা নেই। তার একটাই লক্ষ্য বাংলাদেশ থেকে লোক এনে মোদিকে তাড়াও। আমি পাকা ব্যবস্থা করেছি। কমিশনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। নির্বাচন কমিশন বাংলায় যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছে সুষ্ঠু নির্বাচন করাতে। এই জন্যই দিদি কমিশনকে গালি দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা প্রথম ভোট দেবে তারা দিদিগিরিও চায় না, দাদাগিরিও চায় না। তারা চায় দুনিয়ায় ভারতের জয়জয়কার। আপনাদের চৌকিদার সেই কাজটাই করছে। দিদি বলছে চাওয়ালা প্রধানমন্ত্রী শুধুই বিদেশ যাত্রা করেন। এই বিদেশযাত্রাই একশো তিরিশ কোটি ভারতবাসীর আওয়াজ অন্য দেশে পৌছে দিয়েছে। আজ সারা দুনিয়ায় ভারত দম দেখাচ্ছে। আগে অন্য দেশের সমর্থন পেতে দম বেরিয়ে যেত। এখন আমরা অন্য দেশকে পাশে পাই যে কোনও প্রশ্নে। যে দেশ বেশি দামে তেল, গ্যাস ভারতে বিক্রি করত। তার সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্য দিয়েই আমি সেই দাম কমিয়েছি। অন্যদেশের সাথে ভারত চুক্তি করেছে বিদেশের ব্যাঙ্কে কেউ টাকা রাখলেই তৎক্ষণাৎ তথ্য দেবে সেই ব্যাঙ্ক। ফলে কালোধনের কারবার কেউ করতে পারবে না। এ সবই হয়েছে বিদেশের সাথে চৌকিদারের বন্ধুত্বের ফলেই।