কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
এদিন সভাস্থলকে নোট বাতিলের ভোগান্তির কথা স্মরণ করানোর সঙ্গে নতুন কথাও বলেছেন মমতা। তিনি বলেছেন, নোট বাতিলের জেরে ছোট, মাঝারি আর ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সর্বনাশ হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ঘরের মা-বোনেদের, যাঁরা সংসার খরচ বাঁচিয়ে সঞ্চয় করেছিলেন। এর সঙ্গে এদিন তাঁর সংযোজন, নোট বাতিল হলে বাজারে যে পরিমাণ টাকা ছড়ানো ছিল, তার প্রায় সবটাই ফিরে এল রিজার্ভ ব্যাঙ্কে। নোট বাতিল নিয়ে প্রচার হয়েছিল, এতে কালো টাকা ফিরবে। সেটা তাহলে গেল কই? প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন মমতা নিজেই। তিনি বলেন, কিছু টাকা বিদেশে গিয়েছে। আর বাকিটা এই ভোটে খরচ করছে ওরা (বিজেপি)। করতালিতে মুখর সভাস্থল।
নির্বাচন পর্বে কীভাবে বিজেপি সরকার তাঁর উপর নজরদারি চালাচ্ছে, এদিন তার বিবরণ জনতার দরবারে পেশ করেন মমতা। বলেন, ওরা আমার ফোন ট্যাপ করেছে। কার সঙ্গে কথা বলছি, কী বলছি, সব শুনছে। ফোনে কাউকে দু’কেজি চাল আর আলু আনতে বললেও শুনছে। তাঁর অভিযোগ, এখানে একজন আইবি’র অফিসার আছেন। কী যেন নামটা, মনে আসছে না। আমার কাছে এসেছিলেন। তিনিই সবটা করছেন। তবে আমিও ওদের থেকে দুষ্টুমিটা শিখে গিয়েছি। জরুরি যাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলি, সবার নাম অন্যভাবে সেভ করে রেখেছি। ফোনে কথা বলার সময় ডাকছিও সেই নামে। কত শুনবে শোনো! মমতার অভিযোগ, ১০টা সেন্ট্রাল এজেন্সি মিলে এসব করছে।
এদিন দুই সভাতেই হিন্দিভাষী দর্শক-শ্রোতাদের জন্য বক্তৃতার বেশ কিছুটা সময় ব্যয় করেন মমতা। রাজ্যের জনসংখ্যার যে ১৪ শতাংশ মানুষ হিন্দিভাষী, তাদের জন্য তাঁর সরকারের যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ব্যাখ্যা দেওয়ার সঙ্গেই গেরুয়া শিবির নিয়েও সতর্ক করেন তিনি। বলেন, সবাইকে তাড়ানোর কথা বলছে জগাই আর মাধাই, দুই ভাই। ওদের অত পেয়ার করার দরকার নেই। অসমে এনআরসি’র নামে যাদের তাড়ানো হচ্ছে, তার মধ্যে বহু হিন্দিভাষী মানুষও আছেন। গুজরাত থেকেও তাড়ানো হয়েছে বিহারিদের। এতই যদি হিন্দি প্রেম, তাহলে তাড়ানো কেন? তাই বলছি, বিশ্বাস করবেন না ওদের। এখানে আমরা বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত আর রাজস্থানের মানুষ মিলেমিশে থাকি, তাই থাকব।
টিভিতে এক সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদি মমতার ‘সৌজন্য বোধ’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁকে দিদি ‘মিষ্টি’ পাঠান, এ কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন তার জবাব দিয়েছেন মমতাও। বলেছেন, বাঙালি অতিথি আপ্যায়ন করতে জানে। চা খাওয়াই, রসগোল্লাও খেতে দিই। কিন্তু ভোট মিলবে না।