কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মন্ত্রকের কর্তাদের কথায়, কলকাতার বুকে বা বাংলার নানা জায়গায় ম্যারাথনের আয়োজন করা কোনও নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু তা হয় মূলত বেসরকারি উদ্যোগে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এরাজ্যে নিজে থেকে এমন উদ্যোগ খুব কমই নিয়েছে, দাবি করেছেন কর্তারা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে যেহেতু ডুয়ার্স অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, তাই খোদ জঙ্গলের মধ্যেই ম্যারাথনের আসর বসায় পর্যটন মন্ত্রক। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই ম্যারাথনের আয়োজন করার জন্য একটি বেসরকারি সংস্থাকে ভার দেয় তারা। মোট ১২০ জন পর্যটক ওই ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন। সুইৎজারল্যান্ড বা আমেরিকার পাশাপাশি নেপাল, ভুটান এবং বাংলাদেশ থেকে ওই দৌড়ে হাজির হন পর্যটকরা। রাজ্যের বাসিন্দাদের পাশাপাশি দৌড়ে অংশ নেন কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং সিকিমের পর্যটকরা। কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল এবং পূর্বাঞ্চলের রিজিওনাল ডিরেক্টর সাগ্নিক চৌধুরী বলেন, আমরা এই ম্যারাথনে এতটা সাড়া পাব, তা ভাবিনি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের বাইরে এবং দেশের বাইরে ডুয়ার্সের সৌন্দর্যকে তুলে ধরা। সেই বিষয়ে আমরা সফল হয়েছি বলেই মনে হয়। কারণ যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন, তাঁরা ডুয়ার্স সম্পর্কে যে ধারণা নিয়ে গিয়েছেন, তা এদেশে পযর্টক আনতে আরও বেশি করে সাহায্য করবে। সাগ্নিকবাবু বলেন, ম্যারাথনটিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। পাঁচ কিমি, দশ কিমি এবং ২১.৫ কিমি’র ম্যারাথন, যা আসলে হাফ ম্যারাথন। মূর্তি থেকে শুরু হওয়া দৌড়গুলির মধ্যে ২১.৫ কিলোমিটারের ম্যারাথনটির সাত কিলোমিটারের দৌড় ছিল একেবারে গভীর জঙ্গলের মধ্যে। জঙ্গলে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে বনদপ্তর আমাদের সবরকমভাবে সাহায্য করে, দাবি করেছেন সাগ্নিকবাবু। তিনি বলেন, আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য যেহেতু বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়ানো, তাই আমরা এই ধরনের উদ্যোগগুলি আরও বেশি করে নেওয়ার পরিকল্পনা করছি।
গত আর্থিক বছরে বাইরের দেশ থেকে এদেশে কত পর্যটক এসেছেন, সেই তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রক। কিন্তু গত নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ৯৩ লক্ষ ৬০ হাজার ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছে, ২০২০ সালের মধ্যে সেই সংখ্যা দু’কোটিতে নিয়ে যাওয়াই তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে এ রাজ্যের অবদানও যে হেলাফেলার নয়, তা মানছে কেন্দ্রও। সেই কারণেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারাও নেমে পড়েছে বিশ্বের দরবারে পশ্চিমবঙ্গকে পৌঁছে দিতে, বলছেন মন্ত্রকের কর্তারাই।