গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর তরফে অভিযোগ এনে কমিশনে শুনানির আবেদন করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ২২ মে, সোমবার বোর্ডকে শুনানিতে ডেকেছিল কমিশন। অভিযোগে বলা হয়েছিল, বোর্ড উত্তরপত্র দেখানোর জন্য ৫০০ টাকা পরীক্ষার্থীদের থেকে নেয়। এটা তথ্যের অধিকার আইনের পরিপন্থী। নিয়ম অনুযায়ী, উত্তরপত্রের ডুপ্লিকেট কপি বের করার জন্য যে খরচ, তার বাইরে কোনও অর্থ দাবি করা যায় না। শুধু তাই নয়, বোর্ডের আরটিআই সম্পর্কিত কোনও তথ্যও ওয়েবসাইটে দেওয়া নেই।
বোর্ডের তরফে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার তথা স্টেট পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার (এসপিআইও) দিব্যেন্দু কর। তিনি বলেন, আমরা গত কয়েক বছর ধরে ফলপ্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষার্থীদের ওএমআর শিট (মূল্যায়ন করা) ওয়েবসাইটে আপলোড করে দিচ্ছি। ফলে তাঁদের আর ওএমআর শিট চাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এতে কোনও আর্থিক বিষয় জড়িত থাকে না। তবে, ওএমআর শিট কতদিন সংরক্ষিত করা হবে, সেসব তথ্য আগেভাগে প্রকাশ করা হবে। আরটিআই অ্যাক্ট ২০০৫-এর ৪(১)খ ধারা অনুযায়ী ১৭টি বিষয় কোনও সরকারি সংস্থার ওয়েবসাইটে থাকার কথা। সেই সংস্থার উদ্দেশ্য, কাজের পরিধি, ক্ষমতা, কর্মী-আধিকারিকদের নাম, যোগাযোগের ঠিকানা এবং ফোন নম্বর, তাঁদের বেতনের পরিমাণ, সংস্থাটির পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার কে, তার পদাধিকার কী প্রভৃতি রয়েছে তার মধ্যে। কিন্তু বোর্ডের ওয়েবসাইটে তার কিছুই নেই।
এ ব্যাপারে দিব্যেন্দুবাবুকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমরা দ্রুত বাকি তথ্যগুলি ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেব। আর ওয়েবসাইটে ওএমআর শিট আপলোড করে দেওয়া হয় বলে টাকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কোনও র্যা ঙ্ক কার্ড বা ওই জাতীয় কোনও তথ্য হারিয়ে ফেললে তার প্রতিলিপির জন্য অর্থ নেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের যুক্তি কমিশনও মেনে নিয়েছে। তবে, বোর্ড যেটা এখন স্বীকার করছে না, তা হল, ওএমআর শিট ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেওয়ার নিয়ম চালু হওয়ার আগে পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ৫০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে তা দেওয়ার ফি হিসেবে। তথ্যের অধিকার আইন অনুযায়ী তা পেতে সময় লাগত বলে অনেক পরীক্ষার্থীই টাকা দিয়ে তা নিয়ে নেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু সেই ব্যবস্থা এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
জয়েন্ট বোর্ড মোটামুটি ক্লিনচিট পেয়ে গেলেও রাজ্যের দু’টি পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা কিন্তু সহজে ছাড় পাবে বলে মনে হচ্ছে না। জয়েন্ট বোর্ডের মতো একই দোষে দুষ্ট তারা। কিন্তু ওই দু’টি সংস্থা থেকে কোনও প্রতিনিধি এদিনের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না। তাদের শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে। রাজ্যের মুখ্য তথ্য কমিশনার বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুনানি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এ ব্যাপারে চূড়ান্ত অর্ডার এখনও বেরয়নি। তাই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।