পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এদিনের ভোটে ৯২.০৩ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল। যেসব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল, সেখানে বুথের ভিতর গোলমালের অভিযোগ খুবই নগন্য। কিন্তু যে আট শতাংশ বুথে রাজ্য পুলিস ছিল, সেখান থেকে গোলমালের খবর আসে সিইও দপ্তরে। তবে বুথে না হলেও বুথের বাইরে বিভিন্ন এলাকায় গোলমালের ঘটনা ঘটে। এদিন সকাল থেকেই অভিযোগে জেরবার হয় কমিশনের দপ্তর। সব থেকে বেশি অভিযোগ আসে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। আগের দু’দফার ভোট থেকে এবার অভিযোগের বহর অনেক বেশি ছিল। সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত সেই অভিযোগের সংখ্যা ছিল ৯৮৫। অথচ দ্বিতীয় দফায় ৫২৩ এবং প্রথম দফায় ৭০৮টি অভিযোগ জমা পড়েছিল।
এদিন মুর্শিদাবাদে ভোটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই কমিশনের অফিসের সামনে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়। প্রথমে বুকে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে আসেন ‘আক্রান্ত আমরা’ সংগঠনের সদস্যরা। তাঁরা কমিশনের সামনের রাস্তার বুলেভার্ডে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান। তারপরেই আসে বিজেপি’র এক প্রতিনিধিদল। সেই প্রতিনিধিদলে জয়প্রকাশ মজুমদার, শিশির বাজোরিয়া ও অনুপম ঘোষ ছিলেন। তাঁরা সিইও আরিজ আফতাব এবং বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকের সঙ্গে দেখা করে আগামী ভোটে ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়ার দাবি জানান। সেই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদর্শ আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনেন।
এর কিছু পরেই রোহন মিত্রের নেতৃত্বে যুব কংগ্রেস কর্মীরা কমিশনের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন। তাঁরা কংগ্রেস কর্মী খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরে এক প্রতিনিধিদল সিইও’র সঙ্গে দেখা করে বেশ কিছু বুথে ফের নির্বাচনের দাবি জানায়। বিকেল পাঁচটা নাগাদ রবীন দেবের নেতৃত্বে সিপিএমের এক প্রতিনিধিদল সিইও’র সঙ্গে দেখা করে। রবীনবাবু বলেন, প্রার্থী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুথে ভোট দিতে যেতে পারছে না। ভয়ের পরিবেশ চলছে। কমিশন কী করে বলে শান্তিপূর্ণ? দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে এদিন কমিশনের দপ্তরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। এদিন দিনভর সিইও’র ঘরে থেকে ভোট পরিস্থিতিতে নজরদারি করেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক। সিইও দপ্তর থেকে বেরনোর সময় তিনি বলেন, মোটের উপর শান্তিপূর্ণ।
এদিকে, মুর্শিদাবাদের কান্দি ও নওদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিন একদিন পিছিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আগে ঠিক ছিল, বাকি চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের মতো ওই দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে ১৯ মে ভোট হবে। এদিন তা পিছিয়ে ২০ মে করা হল।