কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী এদিনও ফের তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উন্নয়নের স্পিডব্রেকার বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, স্পিডব্রেকার দিদি নির্বাচন কমিশনকে ভয় দেখাচ্ছেন। মোদিকে গালিগালাজ দিচ্ছেন। এসব আপনারা দেখছেন। মোদিকে নিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের অনেক বেশি কষ্ট। এখানকার ভোটারদের সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে প্রণাম করছি। দু’দফার ভোটে আপনারা নিজের নিজের বুথ রক্ষা করে কামাল করেছেন। বাংলার মানুষ এখন তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ছে। তার জন্য অনেককে প্রাণ দিতে হয়েছে। আপনাদের বলিদান বাংলাকে শক্তি দিচ্ছে। এতদিন বাংলার আওয়াজ দমিয়ে রাখা হয়েছিল। এখানকার মানুষের অধিকার গুন্ডারা ছিনিয়ে নিয়েছে। গরিবের আয় জগাই-মাধাইয়ের গাঁটবন্ধন লুটে নিয়েছে। কংগ্রেস দুর্নীতির রেকর্ড তৈরি করেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসকেও টক্কর দিচ্ছে। দুর্নীতি ও অপরাধ তৃণমূলের আমলে ননস্টপ চলছে। বাকি সবকাজে দিদি স্পিডব্রেকার হয়ে রয়েছেন।
মোদি সারদা, নারদা প্রসঙ্গ তুলেও তৃণমূলকে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, নারদা, সারদা, রোজভ্যালি শুধু দুর্নীতি নয়, গরিবের জীবন নিয়ে খেলে বড় অপরাধ করা হয়েছে। যারা গরিবদের লুটছে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। পাকিস্তানে কত জঙ্গি মারা গিয়েছে তার প্রমাণ ওঁর চাই। কিন্তু গরিবের অর্থ লুটের প্রমাণ লোপাটের ষড়যন্ত্র তিনি করে চলছেন। দিদি দেশকে নিজের পার্টির মতো উন্নয়ন মডেল দিতে চাইছেন। তাঁর উন্নয়ন মডেলের উৎস হল তৃণমূলী তোলাবাজি ট্যাক্স। তৃণমূল কয়লা, বালি, লোহা, জমি মাফিয়াদের সঙ্গে নিয়ে চলছে। যুবকদের জন্য দিদি অন্য উন্নয়ন মডেল এনেছেন। এখানে চাকরি মেলে না। চাকরি হলে বেতন পাওয়া যায় না। ডিএ পাওয়া যায় না। এরকম মডেল দেশের চাই কি? বাংলা হিংসা, আতঙ্ক, দুর্নীতিগ্রস্ত ও অনুপ্রবেশের রাজনীতির সঙ্গে থাকতে চায় না। এই বাংলায় অনেক মনীষী জন্মগ্রহণ করেছেন। এখানকার জনতা নতুন বাংলা চায়। নতুন বাংলায় উন্নয়নের জোয়ার বইবে।
তিনি বলেন, আমাদের দিদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে লুটের টাকা কে পাবে? তা নিয়ে নিলাম হবে নাকি? দিদি, প্রধানমন্ত্রীর পদ ১৩০কোটি জনগণের আশীর্বাদে পাওয়া যায়। সেটা জানেন কি? দিদি কলকাতায় হাত ধরে নাচছিলেন। জম্মু থেকে একজন এসেছিল। উনি বলছেন জম্মু কাশ্মীরে আলাদা প্রধানমন্ত্রী চাই। এই দেশে দুই বিধান, দুই প্রধানমন্ত্রী চলবে না। দিদি আপনি কি চাইছেন হিন্দুস্থানে দুটি প্রধানমন্ত্রী হোক? এয়ারস্ট্রাইকের সময় পাকিস্তানের পক্ষে চোখের জল ফেলেছেন। এটা কি আপনার নীতি? এটা আসানসোল পুরসভার নির্বাচন নয়, ১৩০কোটির ভোট। আপনাদের মহাভেজাল জোটকে বাংলা ধাক্কা দেবে। মমতাদিদির জমি নড়ে গিয়েছে। ওঁর সূর্য অস্ত যেতে বসেছে। সেটা উনিও বুঝেছেন। বিদেশ থেকে নায়কদের এনে প্রচার করতে হচ্ছে। আপনার প্রতি আমার দয়া হচ্ছে। দিদির শাসন শেষ হবে। আবার মোদি সরকার এলে গরিব বেকারদের ঘর হবে। অত্যাচারের মোকাবিলা করব। আপনাদের ভয় পাওয়ার দরকার নেই।
এদিকে, এদিন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করেই প্রধানমন্ত্রীর সভামঞ্চে বিতর্কিত সেই গান বাজানো হয়। এমনকী মোদি যখন হেলিপ্যাড থেকে মঞ্চের দিকে আসছিলেন সেই সময়ও ওই গান বাজে।