গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এদিন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ও কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রার্থী আশিসকুমার বিশ্বাসের হয়ে প্রচার সারেন দিলীপবাবু। বিকেলে তাহেরপুর থানার বাদকুল্লা থেকে হাঁসখালি হয়ে বগুলা বাজার পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। মিছিলের জেরে এদিন কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে হাঁসখালি, বগুলা মেন রোড। চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। বগুলা পৌঁছানোর পর দিলীপ ঘোষ পণ্যবোঝাই একটি ছোট গাড়িতে দাঁড়িয়ে মিনিট প্রায় পনেরো বক্তব্য রাখেন। যদিও এদিন বিজেপি দলের পক্ষ থেকে কোনও মঞ্চ তৈরি না হওয়ায় দিলীপবাবুর উপস্থিতি পর চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যাকে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে সেই প্রার্থী নাবালিকা। তৃণমূল প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছিল না। তাই সদ্য বিধবা হওয়া সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রীকে প্রার্থী করেছে। তৃণমূলের কারণেই খুন হতে হয়েছে সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার মানুষ নিজেদের ভোট নিজেরা দিতে পারেননি। তাই এবার তার বদলা নিতে হবে। নিজের ভোট নিজেকেই দিতে হবে। ২৯ এপ্রিল ভোটের সময় যদি সেই গুন্ডারা ভোট লুট করতে আসে, তাহলে পিঠে যেন গরম সরষে তেল মেখে আসেন। আর আসার সময় যেন, বগুলা হাসপাতালের বেডটা বুক করে আসেন। কারণ, এবার এলে আর এমনই ফিরে যাবে না। সোজা হাসপাতাল হয়ে তারপর বাড়ি। তিনমাস পর্যন্ত হাসপাতালে থাকবেন। যারা বাংলার গণতন্ত্রকে হরণ করেছে, তাদেরকে শিক্ষা দেওয়ার সময় এসেছে। মানুষ পরিবর্তন চাইছেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, দিদিমণি আজ বলছেন সেন্ট্রাল ফোর্স চাই না। কেন, কিসের কষ্ট? না তার ভাইরা রিগিং করতে পারবে না। সেন্ট্রাল অফিসাররা আসছেন তখন দিদি বলছেন, গো ব্যাক। বাংলায় আসা চলবে না। এটা কি পাকিস্তান হয়ে গিয়েছে, নাকি বাংলাদেশে, যে দিল্লির অফিসার আসবে না। এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করলেও, এদিন কেন্দ্রের উন্নয়ন প্রসঙ্গ নিয়ে একটি কথাও শোনা যায়নি দিলীপবাবুর মুখে। জেলার অনেক নেতাকে তাঁর সভায় দেখা যায়নি। যা নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে।