পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০০৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশে পশ্চিম মেদিনীপুরের তেঁতুলমুড়ি রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠে ভূগোলের শিক্ষিকা হিসেবে তিনি নিয়োগ হন। উত্তর ২৪ পরগনার ইটলগাছার বাসিন্দা সুমিতাদেবীকে স্রেফ চাকরি বজায় রাখার জন্য সেখানে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। বাড়ি থেএক স্কুলের দূরত্ব প্রায় ৩০০ কিলোমিটার। কিন্তু, তা নিয়ে সেই সময় তিনি আপত্তি তোলেননি। তাঁর আইনজীবী আশিস চৌধুরী আদালতকে জানান, ২০১৫ সালে তাঁর পারিবারিক পরিস্থিতি বদলে যায়। ওই শিক্ষিকার স্বামীর দু’টি কিডনিই ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বলে ডাক্তারি রিপোর্ট মেলে। এদিকে, এই দম্পতির মেয়ের বয়স তখন মাত্র ছ’বছর। বাধ্য হয়েই তিনি ‘ট্রান্সফার অন স্পেশাল গ্রাউন্ড’-এর ৪নং ধারায় বাড়ির কাছাকাছি বদলির জন্য তাঁর স্কুল এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ডিআই-এর কাছে আবেদন করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই প্রসঙ্গে আপত্তি না করলেও প্রাসঙ্গিক নথি জেলা স্কুল পরিদর্শককে পাঠায়নি বলে পরে জানা যায়।
ওই আইনজীবী একথা উল্লেখ করে এদিন আদালতকে জানান, কেন আবেদন গ্রাহ্য হচ্ছে না, তার কোনও সদুত্তর না পেয়ে ২০১৭ সালে ওই শিক্ষিকা একযোগে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা অধিকর্তা, স্কুল সার্ভিস কমিশন, পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলা স্কুল পরিদর্শককে স্মারকলিপি দেন। সঙ্গে নথি সহ জানান, তাঁর স্বামীর কিডনি খারাপ, যা ডাক্তারি পরিভাষায় চতুর্থ স্তরে পৌঁছেছে। ফলে যে কোনও সময় সংসারে চরম বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। কিন্তু, তারপরেও প্রশাসন নিরুত্তর থেকে যায়। কেন? আদালতের বিস্ময়সূচক জিজ্ঞাসার জবাবে সরকারের তরফে বলা হয়, প্রাসঙ্গিক নথি মেলেনি। এমন সরকারি ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এদিন এই নির্দেশ জারি করেছে।