গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বর্তমানে কম্পিউটার শিক্ষা সেভাবে চালু নেই স্কুলগুলিতে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ওয়ার্ক এডুকেশনের বিকল্প বিষয় হিসেবেই রয়েছে এটি। অর্থাৎ, কেউ যে কোনও একটি বিষয় নিয়ে পড়তে পারবে। আবার মাধ্যমিক স্তরেও ঐচ্ছিকভাবে রয়েছে। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে যার যেমন বিষয়, সেই অনুযায়ী কম্পিউটার নিতে পারে। কিন্তু প্রাথমিক স্তরে এই বিষয়টি নেই বললেই চলে। বাম আমলে ইংরেজি এবং কম্পিউটার শিক্ষা চালু করার বিরোধিতা করা হয়েছিল। যা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। প্রাথমিক স্তর থেকেই কম্পিউটারে হাতেখড়ির ব্যবস্থা করে কচিকাঁচাদের শুরু থেকেই তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর, যে সিলেবাস জমা পড়েছে, তাতে দু’টি ভাগ রয়েছে। একটি মাধ্যমিক অন্যটি প্রাথমিক। এই সিলেবাস গৃহীত হবে, নাকি তার উপর আরও পর্যালোচনা দরকার, তা আজকের বৈঠকে স্থির হবে। এক আধিকারিকের কথায়, এটি আসলে রিভিউ মিটিং। বর্তমানে যেটুকু কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া হয়, তার উপযুক্ত কোনও সিলেবাস এখনও নেই। ফলে এই সিলেবাসের খসড়াকে চূড়ান্ত হিসেবে সিলমোহর দেওয়া হলে, তার উপর ভিত্তি করে আগামীদিনে স্কুলগুলিতে পড়ানো হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য বলেন, আমরা সিলেবাস নিয়েই শুধু আলোচনা করব। বাকিটা সরকার ঠিক করবে।
তবে কোন ক্লাস থেকে এটি চালু করা হবে, তা নিয়ে এখনই সরকারের তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত এটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। তৃণমূল স্তর থেকেই যাতে এটি চালু করা যায়, সে ব্যাপারেই কথাবার্তা চলছে। এই বিষয়ে উচ্চ প্রাথমিকের সঙ্গে যাতে প্রাথমিকের যোগ থাকে, তার জন্যই এই ভাবনা দপ্তরের। এদিকে, প্রাথমিক স্কুলগুলিতে কম্পিউটার চালু করার জন্য যে পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা কোনও স্কুলেই নেই। সেদিকেও নজর রয়েছে সরকারের। কোন স্কুলে কটা কম্পিউটার প্রয়োজন, তা বিচার করেই পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে।