কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তৃণমূলনেত্রীর তোলা অভিযোগ প্রসঙ্গে তীব্র কটাক্ষও ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তাঁর মন্তব্য, নির্বাচন কমিশন গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে কাজ করছে। আমরাও গোটা দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছি। মমতা দিদি তো কেবল পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন। রাজ্যের বাইরে কোথাও র্যালি করছেন? সেই সূত্রে মোদির সেনাপতি আরও বলেন, গোটা দেশে ভোট হচ্ছে। কোথাও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেনি। কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থাকলে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার কেন চুপ করে আছে? অন্যদিকে, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির গান্ধীনগরের প্রার্থী কাছে জানতে চাওয়া হয়, পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না মিললে সরকার গড়তে তাঁরা কি প্রয়োজনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থন নেবেন? দৃশ্যতই প্রশ্ন শুনে মেজাজ খানিকটা বিগড়ে যায় তাঁর। পরে সামলে নিয়ে বলেন, এ ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হতেই পারে না। কারণ, নরেন্দ্র মোদি গতবারের তুলনায় আরও বেশি আসন পেয়ে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই সরকার গঠন করবেন।
এদিন তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আগে সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাশ করা হবে। তারপর এনআরসি কার্যকর করা হবে। তাঁর কথায়, আইন সভায় নাগরিত্ব বিল পাশ করিয়ে তা আইনে পরিণত করে উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তারপর দেশে ছড়িয়ে থাকা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে সীমান্তের ওপারে পাঠানো হবে। সারদা-নারদ কেলেঙ্কারি নিয়েও এদিন মুখ খোলেন বিজেপি সভাপতি। বলেন, বাংলায় চিটফান্ড কেলেঙ্কারি হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনার পুরো প্রমাণ নষ্ট করে দিয়েছে। মমতা দিদি চান না, চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত হোক। তাই পুলিস সব তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করে দিয়েছে। রাজ্যে সরকার বদল হলে বিজেপি ক্ষমতায় এলে এই চিটফান্ডকাণ্ডের উপযুক্ত তদন্ত হবে বলেও জানান অমিত শাহ। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আর্থিক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত অনেক নেতাই তো তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের কী হবে? শাহের সংক্ষিপ্ত জবাব, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের যাচাই করে বিজেপিতে নেওয়া হয়েছে।