বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যে তিন জেলার পাঁচটি আসনে মঙ্গলবার ভোট, তার মধ্যে মালদহ এবং মুর্শিদাবাদ দীর্ঘদিন ‘কংগ্রেসের দুর্গ’ ছিল। গতবারও এই দুই জেলার চারটি আসনের মধ্যে তিনটি ছিল কংগ্রেসের ও একটি সিপিএমের। তবে, পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ আসন শাসক দলের দখলে থাকায় গ্রামে ঘাসফুলের তলায় মাটি লেগেছে। অন্যদিকে, এবার ভোটে এরাজ্যে নতুন প্রবণতা, ভোটারদের মেরুকরণ। ভোট মেরুকরণের হাওয়া বিজেপি কতটা ভোটযন্ত্র পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারবে, সেটা এখন প্রধান চর্চার বিষয়।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রটি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে ছিল। এই কেন্দ্রে চর্তুমুখী লড়াই। তবে, শেষলগ্নে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে প্রচারে ঝড় তুলে গিয়েছেন, তাতে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আসল লড়াই দুই ফুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা আসনে চর্তুমুখী লড়াই। ‘সৌজন্যের রাজনীতি’কে অস্বীকার করে কংগ্রেস নেতৃত্ব শেষ মুহূর্তে সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ায় সুবিধে পেতে পারে শাসক দল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গোল করে মুর্শিদাবাদে ইতিহাস সৃষ্টি করতে মরিয়া তৃণমূল। এই জেলার জঙ্গিপুর আসনে লড়াইও চতুর্মুখী। পঞ্চায়েতকে সামনে রেখে গ্রামীণ এলাকায় তৃণমূলের বলিষ্ঠ আত্মপ্রকাশ, বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি এই আসনের ভাগ্য নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে গনিখান সাহেবের ভাই আবু হাসেম খান(ডালু) প্রার্থী হওয়ায় সিপিএম প্রার্থী দেয়নি। এই কেন্দ্রে কংগ্রেস, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে মূল লড়াই হবে। এই কেন্দ্রে ‘গনি মিথ’ এখনও অটুট কি না জানা যাবে ভোটের ফলে।
এবার মালদহ উত্তর লোকসভার দিকে তাকিয়ে রাজ্যের মানুষ। কারণ এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মৌসম বেনজির নুর। বরকত গনিখান চৌধুরীর ভাগ্নি হয়েও কংগ্রেস ছেড়ে ঘাসফুলের প্রার্থী হয়ে তিনি কেবল চমক দেননি, অসম সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। ‘বিশ্বাসঘাতক’ ও ‘বেইমান’ তকমা অনিবার্য জেনেও তিনি ‘মানুষ ভাগে’র রাজনীতির প্রতিবাদ জানাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছেন। এর আগে কোতোয়ালি পরিবারের কোনও সদস্য ‘হাত’ এর বাইরে গিয়ে ভোটে জেতেননি। সেই ইতিহাস মনে রেখেও মৌসম জানিয়েছেন, ‘হার জিত বড় কথা নয়, আসল কথা মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাই মৌসম কোতয়ালি পরিবারের ‘ব্যতিক্রমী সদস্য’ হয়ে উঠতে পারেন কি না, এই ভোটে প্রমাণ হবে।