কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
সার্ভিস বুকে একজন কর্মীর চাকরি জীবনের যাবতীয় তথ্য নথিভুক্ত থাকে। অবসরের পর এই সার্ভিস বুক দেখেই পেনশন সহ অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। ই-সার্ভিস বুক হয়ে গেলে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ করতে সুবিধা হবে। সার্ভিস বুক হারিয়ে যাওয়া অথবা নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকবে না।
ই-সার্ভিস বুকের যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তাতে একজন কর্মীর ব্যক্তিগত ও চাকরি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আলাদাভাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমেই কর্মীর নাম, আইডি নম্বর, ঠিকানা, বাবার নাম, জন্ম তারিখ, স্বামী/স্ত্রীর নাম, ধর্ম প্রভৃতি সাধারণ তথ্য ই-সার্ভিস বুকে থাকছে। পিএফ, প্যান, আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, ইমেলের পাশাপাশি কর্মীর রক্তের গ্রুপ, উচ্চতা প্রভৃতি শারীরিক বৈশিষ্ট্য পরবর্তী পরিচ্ছদে দেওয়া থাকবে। পরিবারের সদস্যদের নামের সঙ্গে নমিনির নামও এখানে দেওয়া থাকবে। কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও পেনশনের টাকা পেতে পরিবারের সুবিধা হবে। এখন কাগজের সার্ভিস বুকে অনেক কর্মীর নমিনির বিষয়টি উল্লেখ নেই।
ই-সার্ভিস বুকে চাকরি জীবনের বিস্তারিত রেকর্ড স্বাভাবিকভাবেই থাকবে। কবে তিনি চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কোথায় কোথায় কাজ করেছেন, বেতনক্রম কী ছিল, কী কী পদোন্নতি হয়েছে, কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, সবই থাকবে ই-সার্ভিস বুকে। চাকরি জীবনে সংশ্লিষ্ট কর্মী কী প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, কোনও পুরস্কার পেয়েছেন কি না, তারও উল্লেখ করার জায়গা রয়েছে খসড়া ই-সার্ভিস বুকে। বিভিন্ন দপ্তরের মতামত পাওয়ার পর আরও কিছু নতুন বিষয় ই-সার্ভিস বুকে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।