কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বাজারে সব্জির অগ্নিমূল্যের প্রধান কারণই ছিল বিভিন্ন জেলাতে ব্যাপক এবং নিয়মিত বৃষ্টি। এতে পটল, ঢেঁড়স, বেগুন, ঝিঙে সহ সব ধরনের গরমের সব্জির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফলে চাহিদার তুলনায় জোগান কমে যাওয়ার কারণে দাম বাড়ে। অধিকাংশ সব্জির দাম কেজিতে ৬০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। তবে গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। কোলে মার্কেটে পাইকারি বাজারে পাঁচ কেজি পটলের দাম কয়েকদিন আগে ১৬০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সেটা শনিবার ১৩০ টাকায় নেমে এসেছে। ঢেঁড়স, বরবটি, ঝিঙে প্রভৃতির দাম কেজিতে পাঁচ টাকার আশপাশে কমেছে। ভারী বৃষ্টি না হলে গরমের সব্জির দাম দ্রুত কমবে বলে জানিয়েছেন কমলবাবু। বেগুনের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। খুচরো বাজারে ৮০ টাকা দরে বেগুন বিক্রি হচ্ছে। বৃষ্টিতে কলকাতা সংলগ্ন জেলাগুলিতে বেগুনের ক্ষতি হওয়ার জন্যই মূলত এই মূল্যবৃদ্ধি। তবে শনিবার বীরভূমের বেগুন কলকাতার পাইকারি বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা কমেছে। দিন দুয়েক আগে পাঁচ কেজি বেগুন পাইকারি বাজারে ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। সেটা এদিন ২৫০ টাকায় নেমেছে। বৃষ্টি না হলে স্থানীয় বেগুনের দাম কয়েকদিনের মধ্যে আরও কমবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আলুর দাম বেশ কিছুদিন ধরে চড়ে রয়েছে। নতুন আলু এখন মাঠ থেকে সরাসরি আসছে। চাহিদার থেকে জোগান কম হওয়ার কারণে দাম বাড়ছে। এবার পেঁয়াজের দামও কিছুটা বেড়েছে। খুচরো বাজারে ১২ টাকা কেজি দরে যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল, তা ১৫ টাকা ছুঁয়েছে। মহারাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজ আসা কমে যাওয়ার কারণেই দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এখন বাজারের চাহিদা মেটাচ্ছে বাংলার পেঁয়াজ। বাজারে দাম বাড়ায় কৃষকরা একটু বেশি দাম পাচ্ছেন। এতদিন বাংলার পেঁয়াজ থেকে কৃষকরা ভলো দাম পাচ্ছিলেন না।
এদিকে, আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢোকা কমে গিয়েছে। তাই আকাশে মেঘের আনাগোনাও শনিবার কম ছিল। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর থাকা ঘূর্ণাবর্তটি দুর্বল হয়ে পড়ায় বজ্রগর্ভ মেঘ আপাতত সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম। মেঘ শূন্য আকাশে চড়া রোদে তাপমাত্রা বাড়ছে। কলকাতায় একদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চার ডিগ্রি বেড়ে ৩৬ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। জেলাতেও তাপমাত্রা বেড়েছে। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬-৩৭ ডিগ্রির আশপাশে রয়েছে। তবে এখনও তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কোনও সতকর্বার্তা দেয়নি আবহাওয়া দপ্তর।