পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
২০১৪ সালে কমিশনের নেতৃত্বে যে শিক্ষক পদপ্রার্থীদের প্যানেল তৈরি হয়, তা নিয়ে মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে দাবি ছিল, সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে এরা নিজেরাই নিজেদের শিক্ষক পছন্দ করে নিয়োগ করতে পারে। সেখানে কমিশনের ছড়ি ঘোরানোর কোনও সুযোগ নেই। সেই সূত্রে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মাদ্রাসা রিক্রুটমেন্ট রুলস ২০০৭ খারিজ করে দেয়। অথচ, কমিশন তার আগেই ওই প্যানেল বানিয়ে ফেলেছিল। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা তৈরি হলে সুপ্রিম কোর্ট ওই প্যানেলের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। উল্লেখ্য, ওই রুলস খারিজ হয়ে যাওয়ায় বেশকিছু মাদ্রাসা নিজেরাই শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। সেই প্রক্রিয়াও এর ফলে থেমে যায়।
এমন এক অবস্থায় প্রায় ২৫টি মাদ্রাসা ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে দাবি করে, ওই প্যানেল থেকে তাদের শিক্ষক নিয়োগ করতে দেওয়া হোক। যে নিয়োগ মামলার ফলাফলের উপর নির্ভর করবে। সেই সূত্রে ২০১৮ সালের ১৭ মে দেশের শীর্ষ আদালত তার রায়ে জানিয়ে দেয়, রাজ্যের মাদ্রাসাগুলিতে প্রায় ২৬০০ শূন্যপদ রয়েছে। এই অবস্থায় যেসব মাদ্রাসা ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাদের শূন্য শিক্ষকপদ সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করেছে, তারা ২০১৪ সালে তৈরি প্যানেল থেকে আবেদন জমা করলে শিক্ষক পাবে। এই কারণে ওই প্যানেল প্রকাশ করতে হবে।
এই নির্দেশের পরেও জটিলতা থেকে যায়। কারণ, যেসব মাদ্রাসায় ২০১৪ পরবর্তী সময়ে শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে, তারাও শিক্ষক চেয়ে কমিশনে আবেদন করতে শুরু করে। কমিশন সেইসব আবেদন নাকচ করে দেয়। যা চ্যালেঞ্জ করে এক মাদ্রাসা। সেই সূত্রে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই হাইকোর্টের একক বিচারপতি নির্দেশ দেন, যে মাদ্রাসা আবেদন করবে, তাকেই শিক্ষক দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সেই নিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের শীর্ষকর্তার তীব্র সমালোচনা করে বলা হয়, তিনি আইন বোঝেন না। যে কারণে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তিনি বুঝতে ভুল করেছেন। ওই পদে যেন উপযুক্ত আমলাকে বসানো হয়।
হাইকোর্টের এই নির্দেশ কমিশন চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। তাদের আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্য পুরো ঘটনাক্রম আদালতে পেশ করলে মামলাটির নিষ্পত্তি করে বেঞ্চ বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১৫ সাল পরবর্তী শূন্যপদের জন্য ওই প্যানেল থেকে নিয়োগের কোনও সুযোগ নেই। তাই একক বিচারপতির রায় খারিজ করা হল। তাঁকেই মামলাটি শুনতে হবে মামলার ‘মেরিট’ অনুযায়ী।