বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
লোকগানের কিংবদন্তি শিল্পী অমর পালের জন্ম ১৯২২ সালের ১৯ মে। অধুনা বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। ভারত সরকারের সঙ্গীত-নাটক আকাদেমি পুরস্কার সহ রাজ্য সরকারের লালন পুরস্কার ও সঙ্গীত মহাসম্মান অর্জন করেছেন তিনি। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডিলিট উপাধিও পেয়েছেন। সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র বললেন, ‘অমর পাল আমার বাবার বন্ধু। আমরা এক পাড়ায় থাকতাম। আমার মনে হয়, উনি সঙ্গীতচর্চার মাধ্যমে নিজেকে একজন সঙ্গীত সাধকের পর্যায়ে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন। ঋতুপর্ণ ঘোষের অন্তরমহল ছবিতে আমার সঙ্গীত পরিচালনায় উনি উমারে কই রইলি গিয়া গানটি গেয়েছিলেন।’
অমর পাল পরিচালক দেবকী বসুর সঙ্গেও কাজ করেছেন। ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারিয়ে সংসারের দায়ভার কাঁধে তুলে নিয়েও গানপাগল অমর পাল মা দুর্গাসুন্দরী দেবীর কাছেই লোকসঙ্গীতের শিক্ষা শুরু করেন। পাশাপাশি উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের তালিম নেন উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেবের ছোট ভাই জনাব আয়েত আলি খাঁ সাহেবের কাছে। ১৯৫১ সালে আকশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের লোকসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে প্রথম লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন। ধীরে ধীরে তিনি আকাশবাণীর গ্রেডের শিল্পীর সম্মান লাভ করেন। অমর পাল বলতেই বাঙালির মনে পড়ে যায়, সত্যজিত্ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবির সেই কালজয়ী গান ‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’। বাঙালি এবং বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে, এই গান মানুষের মননে থেকে যাবে। এছাড়াও তাঁর প্রভাতী সঙ্গীত, ভাটিয়ালি গানও বিশেষভাবে সমাদৃত। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বাংলা সঙ্গীতমহল।