কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
দলের এক শীর্ষ নেতার কথায়, আমরা চাইছি একই দিনে শহরের দুই প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সর্বভারতীয় সভাপতি র্যা লি করুন। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব ইতিমধ্যেই যথাস্থানে পৌঁছে গিয়েছে। আমরা আশা করছি, বাংলায় দলের ভালো ফল করতে মরিয়া শীর্ষ নেতৃত্ব আমাদের দাবি মেনে এই রোড-শো করবেন। যার জন্য ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। বঙ্গ বিজেপির ওই নেতা আরও বলেন, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে দিয়েও রোড-শো করানোর পরিকল্পনা রয়েছে। হাওড়া জেলায় বিজেপির এই অন্যতম পোস্টারবয়কে হুড খোলা গাড়িতে নামানোর পরিকল্পনা হয়েছে। কলকাতার ওপারের এই শহর মূলত হিন্দিভাষী অধ্যুষিত। সংশ্লিষ্ট অংশের মানুষের মধ্যে যোগী আদিত্যনাথের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সেই লক্ষ্যে যোগীকে হাওড়ায় এনে ওই ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে চাইছে গেরুয়া শিবির। উল্লেখ্য, আগামী ৬ মে হাওড়া এবং উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে নির্বাচন। এর আগে ওড়িশায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রোড-শো করেছেন। আগামী ২৩ এপ্রিল রাঁচিতে পরবর্তী রোড-শো করার কথা রয়েছে। ওই দিনই বাংলায় নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে আসানসোলে ওই দিন জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, বিজেপি সূত্রের দাবি, সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতার বুকে লোকসভা ভোটে দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং শাসকদলের সভাপতিকে দিয়ে রোড-শো হয়নি। দেশের প্রশাসনিক প্রধানকে দিয়ে কলকাতায় রোড-শো করিয়ে বিজেপির পালে হাওয়া তোলার চেষ্টা করছে বঙ্গ নেতৃত্ব। দলের এক নেতার দাবি, গোটা দেশে মোদিজি আমাদের ভোটের মুখ। সেক্ষেত্রে কলকাতার রাজপথে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে রোড-শো করানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা চাইছি, এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় বলে খ্যাত দক্ষিণ কলকাতায় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে রোড-শো করাতে। যদিও গোটাটাই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার উপর।