কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
মিছিলটি আর আর অ্যাভিনিউতে আসার পর একটি সংক্ষিপ্ত সভাও হয়। নেতাদের বক্তব্য, তাঁরা র্যা শনালাইজেশনের জন্য বদলির বিপক্ষে নন। কিন্তু পুরনো স্কুল থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে যেভাবে তাঁদের বদলি করা হচ্ছে, সেটারই বিরোধিতা করছেন। আবার, অনেক শিক্ষক নেতা বিকাশ ভবনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে না গিয়েও বদলির আওতায় আসছেন না। তাঁরা আরও একটি গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। যে বদলির চিঠি তাঁদের দেওয়া হচ্ছে, তার বয়ানে উল্লেখ থাকছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা শিক্ষিকার আবেদনের ভিত্তিতে এই বদলি করা হচ্ছে। কিন্তু এই ধরনের বদলি কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকার আবেদনের ভিত্তিতে হচ্ছে না। এটা শিক্ষা দপ্তরের সুপারিশেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কার্যকর করছে। চিঠিও তারাই পাঠাচ্ছে।
যদিও, চিঠির বয়ান নিয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করছেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, আমাদের একটি তৈরি ফরম্যাট রয়েছে। সেটা ধরেই চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আসলে একসঙ্গে বহু ট্রান্সফার করা হয়েছে। সেগুলি মূলত র্যা শনালাইজেশনের জন্য ট্রান্সফার হলেও তার চিঠির বয়ানে লেখা থাকছে শিক্ষক বা শিক্ষিকার আবেদনের ভিত্তিতে এটা করা হচ্ছে। তাই আমরা বলেছি, সেই অংশটি উপেক্ষা করতে হবে। মানিকবাবু আরও বলেন, একটা অভিযোগ উঠছে, নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পরেও বদলির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে শিক্ষকদের। এটাও সম্পূর্ণ ঠিক নয়। আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর সেভাবে কোনও বদলির নির্দেশপত্র দপ্তর বা পর্ষদ থেকে বের করা হয়নি। কিন্তু রাজ্যস্তর থেকে সেই নির্দেশ যখন নিচুতলা পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে, তখন হয়তো কোনও কোনও ক্ষেত্রে আচরণবিধির সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। তিনি জানান, একজন শিক্ষক বদলি ইস্যুতে আদালতে গিয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁর একটি জেলায় ভোটের ডিউটি পড়েছে। ওই সময়ই তাঁকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। ফলে তাঁর পক্ষে দু’টি দিক সামলানো সম্ভব নয়। আমরা আদালতকে বলেছি, ভোটের ডিউটির জন্য সব শিক্ষকই অন ডিউটি লিভ পাবেন। সেক্ষেত্রে এটা কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।