বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কোচবিহার জেলায় সভা করে প্রথম দফার ভোটের প্রচারে নামেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মাঝে একদিন অসমের ধুবড়িতে ভোটপ্রচারে যান। এরপর চষে বেড়ান উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। শনিবার প্রথম দফার প্রচার শেষ করে কলকাতায় ফেরেন মমতা। গত ৩০ বছর ধরেই বাংলা নববর্ষের আগের রাতে কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন তিনি। পুজোর যাবতীয় উপকরণ দিয়ে ডালা সাজান তৃণমূল নেত্রী নিজেই। রাতে বাড়ি থেকে মন্দিরে যান। দল এবং রাজ্যবাসী তথা দেশবাসীক মঙ্গল কামনা করে পুজো দেন তিনি।
মুর্শিদাবাদ জেলায় নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রথম সভা বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বেলডাঙায়। এজন্য কাশিমবাজারে রাজা গোবিন্দসুন্দরী হাইস্কুলের ময়দানে মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। এজন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে বেলডাঙায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। বেলা দেড়টা নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছবেন তিনি। সভার মঞ্চে দলের জেলা নেতারা ছাড়াও বহরমপুর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী অপূর্ব সরকার উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।
আজই, মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভগবানগোলায় দ্বিতীয় নির্বাচনী সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। এরজন্য ভগবানগোলার লিয়াকতনগরের আমবাগান মাঠে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। সেই মঞ্চ থেকে ১০০ মিটার দূরে তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড। দু’টি সভাস্থলেই নিরাপত্তার দায়িত্বে রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী। এখানেও দলের নেতাদের পাশাপাশি তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান মঞ্চে হাজির থাকবেন। এই দু’টি সভার পর জেলায় ঘাসফুলের ঝড় উঠবে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন। তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অশোক দাস বলেন, ওই দুই সভায় ব্যাপক জমায়েত হবে। সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করছেন। এর মধ্যে দিয়ে জেলায় ‘সবুজ বিপ্লবের’ সূচনা হবে বলে আশা করছি।
এই দুটি সভার পর মুখ্যমন্ত্রী মালদহে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহকে ভরকেন্দ্র বা ওয়াররুম বানিয়ে তিনি ওই জেলা ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গা চষে বেড়াবেন। বুধবার ফের মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি ও জঙ্গিপুরের বড়শিমুল এলাকায় দু’টি নির্বাচনী জনসভা করবেন। আগামী ১৯ তারিখ বহরমপুরে আরও একটি সভা করবেন। তিন দিনে সংখ্যালঘু প্রধান মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট পাঁচটি সভা করবেন তিনি। -ফাইল চিত্র