বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ২১ জুলাই রাতে হেস্টিংস থানা এলাকায় ওই ঘটনাটি ঘটে। পরে ওই শিশুকন্যার মৃতদেহ পাওয়া যায় ভিক্টোরিয়ার কাছে এক পরিত্যক্ত জলা থেকে। ওই ঘটনার পর শিশুর ঠাকুমা পুলিসে অভিযোগ করেন। পুলিস অপহরণ, ধর্ষণ, খুন সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করে। পাশাপাশি পকসো আইনের ৪নং ধারাতেও মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিস বিহার থেকে সুরেশকে গ্রেপ্তার করে। তাকে লাগাতার জেরা করে রহস্যের কিনারা করে পুলিস, দাবি এমনটাই। প্রথমে এই মামলার তদন্ত করে হেস্টিংস থানা। পরে গুরুত্ব উপলব্ধি করে তদন্তভার হাতে নেয় কলকাতা গোয়েন্দা পুলিসের হোমিসাইড শাখা। মামলাটি পর্যবেক্ষণ করেন গোয়েন্দা দপ্তরের এসি ডিডিআই অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্ত শেষ হওয়ার পর ২০১৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী পুলিস অফিসার। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলায় কোর্টে সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩৩ জন।
জেলে টিআই প্যারেডে অভিযুক্তকে শনাক্ত করেন দুই যুবক। এমনকী কোর্টেও সাক্ষীরা শনাক্ত করে অভিযুক্তকে। আদালত সূত্রের খবর, এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের মধ্যে ছিলেন দুই তদন্তকারী পুলিস অফিসার, চারজন চিকিৎসক এবং মৃত শিশুর ঠাকুমা সহ কয়েকজন। তবে প্রথম পর্যায়ে কোর্ট ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের প্রলয় মজুমদার নামের ওই চিকিৎসককে সাক্ষ্য দিতে ডাকে। আজ, মঙ্গলবার এই রায়দানকে ঘিরে কলকাতা নগর দায়রা আদালত চত্বরে কড়া পুলিস প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।