রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
হুগলি জেলার চন্দননগরের বাসিন্দা পিয়ালি বসাক এবছর বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট (৮,৮৪৮ মিটার) জয়ের লক্ষ্যে রওনা দিচ্ছেন চলতি মাসেই। তাঁর কথায়, আগের বছর মানাসলু জয় করার পরই ঠিক করেছিলাম এবার এভারেস্ট জয় করব। সেই লক্ষ্যেই এবার রওনা দিচ্ছি। সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয়ের স্বপ্ন সফল হবে। তবে পর্বত অভিযানের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়, তা এখনও তিনি পাননি বলে আক্ষেপের কথা শোনান। তবে তাঁর থেকে গোটা ঘটনা জানার পর মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাই তিনি আশাবাদী দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
অন্যদিকে, এবছর একযোগে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা (৮,৫৮৬ মিটার) জয়ের লক্ষ্যে রওনা দিচ্ছেন চার বাঙালি। তাঁরা হলেন বিপ্লব বৈদ্য, কুন্তল কাঁড়ার, রুদ্রপ্রসাদ হালদার এবং শেখ সাহাবুদ্দিন। বিপ্লববাবু জানান, আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে তাঁদের নেপাল পৌঁছনোর কথা। সবকিছু ঠিক থাকলে এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাঠমাণ্ডু থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা জয়ের উদ্দেশে তাঁরা রওনা হবেন।
বিপ্লব বৈদ্য, কুন্তল কাঁড়ার, রুদ্রপ্রসাদ হালদার এবং সাহাবুদ্দিন প্রত্যেকেই এর আগে সফলভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট অভিযান শেষ করেছেন। এবার তাঁদের লক্ষ্য তৃতীয় সর্বোচ্চ শৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা জয় করা। প্রবল আর্থিক সমস্যা সত্ত্বেও শুধুমাত্র পাহাড়কে জয় করার নেশাতেই ফের রওনা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিপ্লববাবু। তিনি বলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে বিপুল টাকা খরচ হবে। সেই টাকার কিছুটা ইতিমধ্যেই এজেন্সিকে দিয়ে দিতে হয়েছে। এই অবস্থায় এখন পিছিয়ে আসা সম্ভব নয়। তাই যেভাবেই হোক বাকি টাকা জোগাড় করে অভিযানে যাব। প্রায় একই সুর শোনা গেল রাজ্যের বিশিষ্ট পর্বতারোহী দীপঙ্কর ঘোষের গলাতেও। তিনি বলেন, এবছরও ঋণ নিয়ে বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাকালু (৮,৪৮৫ মিটার) জয়ের জন্য যাচ্ছি। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পর্যাপ্ত দড়ি না থাকায় মাকালু শৃঙ্গ জয়ের মাত্র ১৬৩ মিটার আগে থেকেই ফিরে আসতে হয়েছিল দীপঙ্করবাবুকে। তাই এবার ফের সেই মাকালু অভিযানেই যাচ্ছেন তিনি। দীপঙ্করবাবু এর আগে এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, ধবলগিরি, চো-ইউ, মানাসলু, লোৎসে অর্থাৎ বিশ্বের ছ’টি আট হাজারি শৃঙ্গ জয় করেছেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে অন্নপূর্ণা অভিযান মাঝপথে বন্ধ রেখে ফিরে এসেছিলেন। তিনি বলেন, এবছর ভারত-নেপাল মৈত্রী অভিযানের অংশীদার হিসেবে তিনি এবং কাঠমাণ্ডুর নবরাজ বাঁশতোলা একসঙ্গে মাকালু অভিযানে যাচ্ছেন।
এদিকে, এবছর বিশ্বের ষষ্ঠ সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ চো-ইউ (৮,১৮৮ মিটার) অভিযানে যাচ্ছেন রাজ্যের আরেক বিশিষ্ট পর্বতারোহী দেবাশিস বিশ্বাস। তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই এভারেস্ট, কাঞ্চনজঙ্ঘা, অন্নপূর্ণা, মাকালু, মানাসলু, লোৎসে, ধবলগিরি শৃঙ্গ জয় করেছি। এবার চো-ইউ’র লক্ষ্যে রওনা দেব। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালেও তিনি চো-ইউ অভিযানে গিয়েছিলেন। কিন্তু, সেবার নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে তাঁকে মাঝপথে অভিযান বন্ধ রেখে ফিরে আসতে হয়েছিল। এবার সেই অধরা স্বপ্নকে জয়ের লক্ষ্যেই তিনি অভিযানে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।