পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কোনওটা তৃণমূলের অফিসিয়াল পেজ, কোনওটা তৃণমূল ফ্যান ক্লাব, এমন অজস্র নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় মমতাকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখতে প্রচার চলছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে এই প্রচারের ধুম। মুহুর্মুহু মন্তব্য উপচে পড়ছে সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার পেজে। ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে ফেসবুক, সর্বত্র আসন্ন লোকসভায় মমতার হাত শক্ত করতে তৃণমূলকে সমর্থনের আবেদন জানানো হচ্ছে। অনেকে নিজের মন্তব্যের সঙ্গে দিল্লির সংসদ ভবনের ছবি ও মমতার কোলাজ বানিয়ে স্টিকার হিসেবে পোস্ট করছেন। হরেক রকমের স্লোগান, ‘কেন্দ্রে এবার মমতা সরকার/কোনও শক্তি নেই রোখার’। অর্থাৎ সব লেখা বা মন্তব্য আসন্ন লোকসভা ভোটের পটভূমিতে। যার একমাত্র লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে মমতাকে দেখা।
যদিও রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, যেসব আঞ্চলিক দল মমতাকে কেন্দ্রে রেখে নরেন্দ্র মোদি বিরোধী ঐক্যে শামিল হয়েছে, তাদের কেউই নিজের রাজ্যে নিরঙ্কুশ রাজনৈতিক ক্ষমতার অধিকারী নয়। সেক্ষেত্রে মমতা একেবারেই ব্যতিক্রমী চরিত্র। সেই বাস্তবতার উপর দাঁড়িয়ে মমতা এ রাজ্যের মোট ৪২টি আসনের সবক’টিতেই জেতার লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন। যার সুবাদে দেশের সমস্ত আঞ্চলিক দল মিলে বিজেপি বিরোধী জোট সরকার গড়ার সম্ভাবনা হলে সর্বাধিক আসনে জেতা মমতাই হতে পারেন স্বাভাবিক পছন্দ। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার স্বপ্ন যে গোটা বাংলায় আমজনতার মধ্যে আলোড়ন ফেলবে, সেটাই প্রত্যাশিত।
বাংলার মানুষের সেই স্বপ্নপূরণের সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয়, সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছে তৃণমূল বাহিনী। জনমত গঠনে সোশ্যাল মিডিয়ার ওই প্রচার যথেষ্ট কার্যকর হচ্ছে বলেই সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে। দলের সোশ্যাল মিডিয়া সেলও বেশ কয়েক মাস যাবৎ এর রূপরেখা তৈরি করেছে। জেলায় জেলায় সাইবার সেনা তৈরি করেছে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল। কেননা, নেত্রীর নির্দেশ, নিজের দলের প্রচার, রাজ্য সরকারের উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড ছাড়াও কেন্দ্রে বিজেপি প্রশাসনের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ যেমন থাকবে, তেমনই গেরুয়া শিবিরের নানা ধরনের ‘বিভ্রান্তিমূলক’ দাবি ও কুৎসারও চটজলদি জবাব দিতে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার সেনানীদের। উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরে দেশের সর্বত্র মোদি সরকারের পক্ষে প্রচার ও রাজনৈতিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে সক্রিয় রয়েছে বিজেপি তথা হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। তাদের বিরুদ্ধে বাংলায় নানাবিধ অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এসবেরই পাল্টা এখন মমতাকে প্রধানমন্ত্রী করার পক্ষে জনমত গঠনই অগ্রাধিকার পাচ্ছে তৃণমূল পরিবারের পরিমণ্ডলে থাকা সোশ্যাল মিডিয়ায়।