বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বিজেপির অন্দরের খবর, জেলায় জেলায় বিজেপির প্রার্থী নিয়ে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তাতে বঙ্গ নেতৃত্বের উপর চরম ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতারা। দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্য পার্টির কাছে তাঁরা জানতে চেয়েছেন, এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে, তা আগে থেকে আঁচ করা যায়নি কেন? আর যদি আঁচ করাই যায়, তাহলে তা নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না কেন? এরই জবাবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে লক্ষ্যমাত্রার থেকেও বেশি আসনে জয়লাভের সম্ভাবনার রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন বলে খবর। এ ব্যাপারে বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা দলের প্রাক্তন পশ্চিমবঙ্গ সভাপতি রাহুল সিনহা বলেছেন, ‘দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বাংলা থেকে ২৩টি আসন চেয়েছেন। আমরা তাঁকে বলছি, ২৩টি নয়, লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৩২টি আসন জিতবে বিজেপি। দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় সামান্য বিক্ষোভ হয়েছে। তা সামলানোও গিয়েছে। আসলে বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি এহেন ঘটনাকে বড় করে প্রচার করছে।’
দীর্ঘদিন ধরেই লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করেছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ জুটি। সেইমতোই বাংলায় ২৩টি আসনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন অমিত শাহ। এখনও পর্যন্ত বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ২৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। তা প্রকাশের পরেই রাজ্যের একাধিক কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীকে ঘিরেই বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপিরই একাংশ। তৃণমূল থেকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েই লোকসভা নির্বাচনের টিকিট পেয়ে যাওয়ায় তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয় কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে কেন্দ্র করে। এমনকী কোচবিহারের বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুরও চালানো হয়। মালদহ উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া খগেন মুর্মুকে কেন্দ্র করেও একইরকম বিক্ষোভ চলে ওই জেলায়। বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধেও বিজেপির পোস্টার পড়ে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক পদত্যাগ পর্যন্ত করেছেন। সব কেন্দ্রে এখনও প্রার্থী ঘোষণা করতে না পেরে এমনিতেই বাংলায়ে অনেকটা পিছিয়ে থেকে শুরু করছে বিজেপি, তার উপর ঘোষিত প্রার্থী নিয়ে দলীয় কোন্দল তাদের কাছে গোদের উপর বিষফোঁড়ার হয়েই দেখা দিয়েছে।