কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
তবে লক্ষ্যামাত্রা পূরণ না হলেও এবারে ধান সংগ্রহ আগামী বছরকে ছাপিয়ে যাবে বলে নিশ্চিত খাদ্য দপ্তর। গত বছর ৩৫ লক্ষ টনের কিছু বেশি পরিমাণ ধান সরকারি উদ্যোগে কেনা হয়েছিল। এবার বোরো ওঠার পর ধান সংগ্রহের পরিমাণ ৪০ লক্ষ টন ছাড়াবেই বলে মনে করছেন তাঁরা।
রাজ্যে এবার যে পরিমাণ ধান সংগ্রহ হবে, তা রেশনে সরবরাহ করার চালের চাহিদা মেটানোর পক্ষে পর্যাপ্ত হবে। গতবার যে পরিমাণ ধান সংগৃহীত হয়, তা দিয়েই এক বছরের বেশি সময়ের চালের চাহিদা মেটানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এফসিআই যাতে রাজ্য থেকে যত বেশি সম্ভব চাল নেয়, তার জন্য সক্রিয় রয়েছে খাদ্য দপ্তর। এফসিআইকে অন্তত পাঁচ লক্ষ টন চাল নিতে বলা হয়েছে। প্রথম দিকে কিছুটা গড়িমসি থাকলেও, রাজ্য সরকারের নিরন্তর চাপের জেরে এখন এফসিআই চাল নেওয়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে। রাজ্যের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল প্রকল্প ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চাল সরবরাহের দায়িত্ব এফসিআইয়ের। গতবার তাদের কাছে চালের মজুত কম থাকার কারণে রাজ্য খাদ্য দপ্তর নিজস্ব মজুত ভাণ্ডার থেকে মিড ডে মিল ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য চাল সরবরাহ করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য নির্দেশ দেন। কারণ এফসিআই চাল না দিতে পারলে ক্ষতি হতো স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের মা ও শিশুদের। রাজ্যের কাছ থেকে বেশি পরিমাণে চাল নিলে এফসিআই দু’টি জায়গার চাহিদা মিটিয়ে ভিন রাজ্যের রেশনের জন্য কিছুটা সরবরাহ করতে পারবে।
ধান সংগ্রহের গতি কমায় খাদ্য দপ্তরও কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে। কারণ বেশি পরিমাণে ধান থেকে উৎপাদিত চাল মজুত করে রাখাটাই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াত। ডিসেম্বর মাসের পর রাজ্যের রাইস মিলগুলিতে এত বেশি চাল জমে গিয়েছিল যে নতুন ধান নেওয়া তাদের কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাজ্যের গুদামে জায়গা না থাকার জন্য রাইস মিল থেকে চাল নেওয়ার প্রক্রিয়া অনেক জায়গায় থমকে যায়। এবার এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিকরা আশা করছেন।
রাজ্যের নিজস্ব যে গুদাম আছে, তাতে বড়জোর ১৩ লক্ষ টন চাল মজুত করে রাখা সম্ভব। এফসিআইয়ের নিজস্ব অনেক গুদাম আছে।
ধানের সংগ্রহমূল্য এবার প্রতি কুইন্টালে প্রায় দুশো টাকা বেড়ে ১৭৫০ টাকা হওয়ার কারণেই সরকারের কাছে বিক্রি করতে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। গতবারের প্রায় ৭ লক্ষের জায়গায় এখনও পর্যন্ত ধান বিক্রির জন্য ১১ লক্ষ চাষি নাম নথিভুক্ত করেছেন।