পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সাড়ে তিন দশকের বামশাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় বসা ইস্তক রাজনৈতিক বদলার পরিবর্তে বদলের ডাক দিয়েছিলেন মমতা। তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের একটানা সাত বছরের বেশি সময় ধরে রাজ্যের উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দিয়ে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বছর দুয়েক ধরে মোদির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে নিয়ে মমতা যে ঐক্য গড়ে তুলেছেন, তা এই নির্বাচনের মুখে নাড়িয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা ভোটে বস্তুত মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ মমতা ও মোদি। সেই আবহে মমতার কাছে এই নির্বাচন শুধু বাংলার লোকসভার সব আসনে জয়ে সীমায়িত নয়। স্বভাবতই নির্বাচনোত্তর দিল্লির সংসদের ক্ষমতা বিন্যাসে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিতে পারেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর সর্বাগ্রে দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। এবার এই ইস্তাহার প্রকাশের পরই রাজ্যজুড়ে প্রচারও শুরু করে দেবেন তিনি।
তেমন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবারের ইস্তাহারে দেশের ক্ষমতা পরিবর্তন হলে উন্নয়নমুলক কর্মকাণ্ডে তৃণমূল কোন কোন বিষয়ে জোর দিতে আগ্রহী, তার স্পষ্ট উল্লেখ থাকছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। যেভাবে কৃষি, স্বাস্থ্য, গ্রামীণ বিকাশ, নারীকল্যাণ, যুবকল্যাণ সহ কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে বাংলা অগ্রগণ্য ভূমিকা নিয়েছে, তার প্রচার যেমন জায়গা পেয়েছে ইস্তাহারের একাংশে, তেমনই অন্য অংশে গোটা দেশেই সেই ধরনের প্রকল্প চালুর ইচ্ছা প্রকাশিত হচ্ছে তৃণমূলের নির্বাচনী ইস্তাহারে। তৃণমূলের একটি সূত্র জানাচ্ছে, এতদিন রাজ্যের নির্বাচনে বিরোধীদের বিরুদ্ধে বাংলার উন্নয়নকে হাতিয়ার করা হচ্ছিল, এবার জাতীয় স্তরে মোদি প্রশাসনকে আক্রমণেও সেই মডেলই দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা হবে। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই দলের তরুণ মুখ যুব তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বাংলা থেকেই একদা দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এবারে স্বাধীন ভারতে সেই দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। স্বাভাবিক কারণেই বাংলার অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের ফসল গোটা দেশের উন্নয়নের দিশা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইস্তাহারে সেই ছাপই স্পষ্ট করতে চাইছে তৃণমূল।
ইস্তাহারে দু’টি পর্ব থাকছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমটিতে তৃণমূল আমলে মমতার নেতৃত্বে কীভাবে রাজ্যের ছবিটা আমূল বদলে গিয়েছে, তারই তথ্যসমৃদ্ধ দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হবে। রাজ্যের এই উন্নয়নের খতিয়ানে জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের উল্লেখ যেমন থাকবে, তেমনই বিশেষ গুরুত্ব পাবে কৃষি, শিল্প সহ পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ঘটে যাওয়া বিপুল পরিবর্তনের ছবি। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রশ্নে মমতা সরকার কী কী যুগান্তকারী প্রকল্প নিয়েছে, তারও সবিস্তার উল্লেখ থাকছে ইস্তাহারে।